• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় এমনানগাওয়ার

এমারসন এমনানগাওয়াই

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় এমনানগাওয়ার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৪ আগস্ট ২০১৮

টানা চার দশক ক্ষমতায় থাকা রবার্ট মুগাবেকে উৎখাতের পর দায়িত্ব নেওয়া এমারসন এমনানগাওয়াই জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বলে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। এদিকে ফল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের মঞ্চে বিরোধী প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানালে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। বিবিসির খবর।

নির্বাচনে ২১০ আসনের মধ্যে জানু-পিএফ ১৪৪টি ও বিরোধী এমডিসি ৬৪টি আসনে বিজয়ী হয়েছে বলে জানিয়েছে জিম্বাবুয়ের নির্বাচন কমিশন (জেডইসি)। এর বাইরে ক্ষমতাচ্যুত মুগাবের ঘনিষ্ঠদের বানানো দল ন্যাশনাল প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্টও একটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার ১০টি প্রদেশের ফল ঘোষণা করা হলো। হিসাব অনুযায়ী জানু-পিএফ পার্টির প্রার্থী এমনানগাওয়া ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মুভমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জ (এমডিসি) জোটের প্রার্থী নেলসন চামিসা ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়ায় এমনানগাওয়া দ্বিতীয় দফার ভোট এড়াতে পারলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ফল ঘোষণার পর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এমনানগাওয়া। টুইটারে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ রায়কে ‘নতুন শুরু’ হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। এদিকে এমডিসি জোটের চেয়ারম্যান এ ফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ফল যাচাই করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত চামিসা নিজেকে বিজয়ী বলে দাবি করে আসছিলেন। ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টি ‘ফল বদলে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে গত বৃহস্পতিবার ফল ঘোষণার আগেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। চামিসা বলেন, আমরা এটি মেনে নেব না। তবে কোনো ধরনের চাতুরি হয়নি বলে জানিয়েছে জিম্বাবুয়ের নির্বাচন কমিশন (জেডইসি)।

গত সোমবারের সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে ছাড়াও পার্লামেন্টের সদস্য ও স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা ঠিক করতে ভোট দিয়েছে জিম্বাবুয়ের নাগরিকরা। মুগাবে পরবর্তী এ নির্বাচনে ভোট দিতে নিবন্ধন করেছিলেন ৫০ লাখেরও বেশি ভোটার। ভোটের হারও ছিল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ৭০ শতাংশের ওপরে।

পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলে জানু-পিএফ দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছে জেডইসির এমন ঘোষণার পর থেকেই হারারেজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধী জোটের সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের পাথরের বদলায় সৈন্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেশটিতে অন্তত ছয়জন নিহত হয়ে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads