• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
অতি উচ্চতায় কার্যকর রকেট চীনের, আশঙ্কায় ভারত

প্রতীকী ছবি

বিদেশ

অতি উচ্চতায় কার্যকর রকেট চীনের, আশঙ্কায় ভারত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ আগস্ট ২০১৮

সামরিক বাহিনীর গোলন্দাজ শাখার জন্য বিদ্যুৎ ও চুম্বক শক্তিতে নিক্ষেপযোগ্য (ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপুল্ট) রকেট প্রযুক্তি তৈরি করছে চীন, যা তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের (টিএআর) মতো অতি উচ্চতাতেও কার্যকর থাকবে। ভারতের আশঙ্কা, এই রকেট ভারতের সীমান্তেও মোতায়েন করা হতে পারে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

নতুন এই উদ্ভাবনকে ‘অভূতপূর্ব’ বলে বর্ণনা করে চীনের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই রকেট ২০০ কিলোমিটারের অভ্যন্তরে যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এ ছাড়া এটি প্রচলিত যেকোনো গোলন্দাজ বন্দুকের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও কার্যকর হবে। ওই রিপোর্টে ভারত সীমান্তে মোতায়েনের কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সামরিক বিজ্ঞানীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চীন সীমান্ত এলাকার সামরিক ঘটনায় এই প্রযুক্তির রকেট ব্যবহার করা যেতে পারে। চীনের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে ভারতের অবস্থান।

গত বছর সিকিম সীমান্তের দোকলামে চীন ও ভারত ৭৩ দিন ধরে পাল্টাপাল্টি সামরিক অবস্থান নিয়ে ছিল। ভুটানের দাবি করা অঞ্চল দিয়ে চীনা নাগরিকরা একটি কৌশলগত সড়ক তৈরির চেষ্টা চালালে ভারত তাতে বাধা দেয়। ওই সময়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ওই মুখোমুখি অবস্থানের অবসান হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর কারো কারো ধারণা তাদের সেনা কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় চীন কূটনৈতিক আলোচনায় সমাধান নেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেইজিংয়ের পিএলএ’র গবেষণা কেন্দ্রে নতুন উদ্ভাবিত ‘ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপুল্ট রকেট আর্টিলারি টেকনোলজি’ ভারতের সেই সুবিধাকে অতিক্রম করে ফেলতে পারে। একই ধরনের প্রযুক্তি যুদ্ধজাহাজ ও বিমানেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা। আগামীতে স্বল্প সময়ের মধ্যে যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে চীন তাদের যুদ্ধজাহাজ এবং বিমানেও প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কিনতে পারবে দিল্লি : প্রতিরক্ষায় ও মহাকাশকে অসামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এবার সর্বাধুনিক মানের মার্কিন প্রযুক্তি কিনতে পারবে ভারত। তার জন্য ‘স্ট্র্যাটেজিক ট্রেড অথরাইজেশন-১’ (এসটিএ-১) তালিকায় ভারতের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপের (এনএসজি) সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও ভারতের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলো এসটিএ-১ তালিকায়, যা নজিরবিহীন। এনএসজির সদস্য না হওয়ায় ‘বন্ধু দেশ’ ইসরাইলকেও এসটিএ-১ তালিকায় রাখেনি যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরও ভারতের নাম ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে চীনকে রাজনৈতিক বার্তা দিতে চেয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ন্যাটো জোটের দেশগুলো এবং এশিয়ার জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নামও রয়েছে এই তালিকায়। নিয়ম অনুযায়ী, ওই দেশগুলো মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম (এমটিসিআর), অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ও ভাসিনার অ্যাগ্রিমেন্টেরও সদস্য। ভারত বাকি তিনটি গ্রুপে থাকলেও এখনো এনএসজির সদস্য হতে পারেনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads