• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা পেলেন মাদুরো

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

ড্রোন হামলা থেকে রক্ষা পেলেন মাদুরো

অভিযোগের তীর কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের দিকে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ আগস্ট ২০১৮

ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে সামরিক বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ভাষণ দেওয়ার সময় ড্রোন হামলা চালানো হয়। তবে মাদুরো অক্ষত রয়েছেন। দেশটির সেনাবাহিনীর ৮১তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান মানুয়েল স্যান্তোসকে হামলার জন্য দায়ী করেন মাদুরো। সিএনএন ও ডেইলি মেইলের খবর।

গতকাল রোববার ডেইলি মেইল প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, খোলা স্থানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো সেনাসদস্যদের সামনে মঞ্চে বক্তৃতা করছেন মাদুরো। এ সময় হঠাৎ করে বিকট শব্দ হলে অনুষ্ঠানের শব্দব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। বিস্ফোরণে সঙ্গে সঙ্গেই সেনারা দৌড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে থাকেন এবং প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীরা চারপাশ থেকে বেষ্টনী তৈরি করে মাদুরোকে সরিয়ে নেন।

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভেনেজুয়েলার যোগাযোগমন্ত্রী জর্জ রদ্রিগুয়েজ বলেছেন, মাদুরোকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। এতে সাত সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। হামলায় আহত সেনাসদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে মাদুরো বলেন, এটি গুপ্তহত্যার চেষ্টা ছিল, তারা আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান মানুয়েল স্যান্তোসের নাম উল্লেখ করে তিনি এ হামলার পেছনে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাদুরো।

মাদুরোর অভিযোগকে ‘অবাস্তব’ বলে দাবি করে কলম্বিয়ার এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত শনিবার নিজের নাতনির খ্রিস্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন স্যান্তোস। বিদেশি কোনো সরকারের পতন ঘটানো তো দূরের কথা, অন্য কোনো কিছু নিয়েই ভাবিত ছিলেন না তিনি।

‘ন্যাশনাল মুভমেন্ট অব সোলজার্স ইন টি-শার্টস’ নামের স্বল্প পরিচিত একটি গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ধারাবাহিক কয়েকটি পোস্টে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা দুটি ড্রোন ওড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল কিন্তু স্নাইপাররা সেগুলো গুলি করে ফেলে দিয়েছে। গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা যে সুরক্ষিত নয় আমরা এটি দেখিয়ে দিলাম। আজ আমরা সফল হতে পারিনি, কিন্তু এটি শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট তার মন্ত্রী ও সামরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এর আগে গত বছরের জুনে হেলিকপ্টার থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয় দেশটির সুপ্রিম কোর্টের ওপর। অস্কার পি রেজ নামে হেলিকপ্টারের পাইলটকে ওই হামলার জন্য দায়ী করা হয়। এ বছরের জানুয়ারিতে কারাকাসের কাছে এক অভিযানে পুলিশের গুলিতে ওই পাইলট নিহত হন।

২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মাদুরো। মাদুরোর প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে গণতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। বিরোধী দলের মতে, মাদুরো স্বেচ্ছাচারী শাসক এবং নিজ দলের নিয়ন্ত্রণে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের কঠোরভাবে দমন করেন। মে মাসে পুনর্নির্বাচনের সময় তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। অর্থের ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায় ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ। লাখ লাখ মানুষ দেশ ছাড়ে। এরপরও মাদুরো ও তার দল ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টির (পিএসইউভি) প্রতি অনুগত লোকের সংখ্যা কম নয়। তাদের মতে, ভেনেজুয়েলার সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মতো সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর কারণে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads