• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
তেল রফতানি কেউ বন্ধ করতে  পারবে না : জারিফ

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞায় হতাশ মস্কো

তেল রফতানি কেউ বন্ধ করতে পারবে না : জারিফ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৯ আগস্ট ২০১৮

পুনরায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তেল রফতানি শূন্যে নামিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিকল্পনা করেছে তা সফল হবে না বলে দাবি করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। গত মঙ্গলবার রাতে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাগিরিতে বিশ্ব সম্প্রদায় অসুস্থ ও ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্ব তাদের জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধন্ত কখনোই বাস্তবায়ন করবে না। এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, মস্কো অবশ্যই ইরানের পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন করবে। খবর আলজাজিরা ও পার্স টুডে।

ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার সফলতা বহু আগেই প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাও বহুবার বলেছে, ইরান এ সমঝোতা মেনে চলছে। ফলে এ বিষয় নিয়ে দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা এতটা শক্তিশালী যে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যেকোনো প্রতিবন্ধকতা দূর এবং সমস্যার সমাধান করতে পারবে। ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষাকারী কোম্পানিগুলোকে সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

পরমাণু সমঝোতার মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক কীভাবে আরো শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে বাকি সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা চালিয়ে যাবে মস্কো। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ২০১৫ সালে ছয় জাতিগোষ্ঠীর একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মে মাসে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান এবং তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দেন। তার ঘোষণা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার থেকে প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এছাড়া কেউ ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর গত মঙ্গলবার বিশ্বের অন্যান্য দেশকে এভাবেই কড়া হুশিয়ারি দেন তিনি। এক টুইটে ইরানের ওপর পুনর্বহাল করা এ নিষেধাজ্ঞাকে এ যাবতকালের সবচেয়ে কঠোর বলেও অভিহিত করেন ট্রাম্প। নভেম্বরে তা আরো কঠোর করা হবে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তেলসংশ্লিষ্ট খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এর আওতায় রয়েছে দেশটির জ্বালানি, শিপিং খাত এবং পেট্রোলিয়াম ব্যবসা। বিশ্বের অন্যতম তেল উৎপাদনকারী এ দেশটির অর্থনীতি তেল রফতানির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ফলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে জারিফ বলেন, এই সরল ও অসম্ভব ধারণা যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ধরে রাখে তাহলে তাদের এর উপযুক্ত ফলাফলও জানতে হবে। আমরা তেল রফতানি করতে পারব না আর অন্যরা করবে- এটা ভাবা উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র যদি তেল রফতানিতে বাধা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় তাহলে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে গত মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এমন ইঙ্গিত দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads