• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
দ্রুততম সময়ে ডুবে যাচ্ছে জাকার্তা

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

দ্রুততম সময়ে ডুবে যাচ্ছে জাকার্তা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০১৮

আগামী ৩২ বছরের মধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ডুবে যাবে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা। সম্প্রতি গবেষকরা এক কোটির বেশি জনগোষ্ঠীবহুল এই শহরের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

পরিসংখ্যান অনুসারে, গোটা শহরটির শরীর জুরে ১৩টি নদী প্রবাহিত থাকলেও বিগত বছরগুলোতে জাকার্তা বেশ কয়েকবার ব্যাপক মাত্রায় বন্যার মুখোমুখি হয়েছে। বান্দুং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক হেরি অ্যান্ড্রেসের মতে, বর্তমান নগর রক্ষা মডেল অনুসরণ করলে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে জাকার্তার ৯৫ শতাংশ ভূমি নিমজ্জিত হয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই উত্তর জাকার্তার আড়াই মিটার এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। প্রতিবছর শহরটি গড়ে ১ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের কিছু অঞ্চল থেকে বাসিন্দারা স্থায়ীভাবে বসতি গুটিয়ে নিয়েছে এমন তথ্যও প্রকাশ করেছে বিবিসি।

ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে ব্যস্ত বন্দরগুলোর মধ্যে তানজুং প্রিয়ক অন্যতম। জাভা সাগর থেকে বের হয়ে আসা চিউয়াং নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠা এই বন্দর কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে বন্দরে এক সময় দেশটির অধিকাংশ ধনীদের ব্যবসায়িক আনাগোনা ছিল, আজ সেখানে ক্রমশ অবকাঠামো শূন্য হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর সাগরে পানির উচ্চতা গড়ে ৫ সেন্টিমিটার করে বাড়ায় অনেক বাড়িতেই প্রবেশ করেছে নোনাপানি। এছাড়া বার্ষিক বন্যার প্রভাবে শহরের অনেক অবকাঠামো ইতোমধ্যেই ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাকার্তার উত্তরাঞ্চল ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলও ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে। দেশটির সরকারি হিসাব মতে, প্রতিবছর দক্ষিণাঞ্চল ১৫ সেন্টিমিটার, পূর্বাঞ্চল ১০ সেন্টিমিটার, মধ্যাঞ্চল ১ সেন্টিমিটার পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। নিকট ভবিষ্যতে এই শহরে বসবাসরত মানুষের আবাসন কোথায় হবে তা এখনো আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়নি দেশটির রাজনীতিতে। শহরের অধিকাংশ আবাসিক অঞ্চলে দেখা দিয়েছে খাবার পানির সঙ্কট। আর এই পানি সঙ্কটের কারণে প্রভাব পড়ছে দেশটির শিল্প খাতে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই অনেক ভারি শিল্প-কারখানাকে তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হবে। ফলে দেশটিতে নেমে আসতে পারে অর্থনৈতিক বিপর্যয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads