• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ইমপিচমেন্ট হলে অর্থনীতি ধসে পড়বে : ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

ইমপিচমেন্ট হলে অর্থনীতি ধসে পড়বে : ডোনাল্ড ট্রাম্প

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৪ আগস্ট ২০১৮

মেঘ ঘনাচ্ছে বুঝেই স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, তাকে ইমপিচ করা হলে মার্কিন অর্থনীতিই ধসে পড়বে! তার দুই সহযোগী মাইকেল কোহেন (প্রাক্তন আইনজীবী) এবং পল ম্যানাফোর্ট (প্রচার-দলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান) দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দিন প্রেসিডেন্ট মুখ না খুললেও মার্কিন টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে আজ শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘আমায় ইমপিচ করা হলে বাজার ধসে পড়বে। সবাই গরিব হয়ে যাবে।’ আপাতত মার্কিন রাজনীতিতে এই নিয়েই জোর জল্পনা। বস্তুত ট্রাম্পকে কতটা আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, সেটাই এখন মাথাব্যথা রিপাবলিকানদের। সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্পের এই প্রতিক্রিয়া।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন চাকরির সুযোগ তৈরি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।’ ট্রাম্পের দাবি, ২০১৬ সালের নির্বাচন যদি হিলারি ক্লিনটন জিততেন, তা হলে নাগরিকদের অবস্থা আরো খারাপ হত। তার মন্তব্য, ‘আমি জানি না, যে এত ভাল কাজ করেছে, তাকে কীভাবে ইমপিচ করার কথা ভাবা হয়!’

বিশ্লেষকদের দাবি, মাসের পরে মাস নানা বিতর্কিত বিষয়ে অস্পষ্টতা বজায় রেখে এবং বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েও ট্রাম্প কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া রুখতে পারেননি। যার জেরে কোহেন-ম্যানাফোর্টের জেল হচ্ছে। কোহেন তো আদালতে বুঝিয়েই দিয়েছেন, যে যে কাজ নিয়ে অভিযোগ, তার সবই তিনি করেছিলেন তৎকালীন ‘প্রার্থীর’ (ট্রাম্প) নির্দেশে। পাশাপাশি মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে মুলারের তদন্তের ফল এখনো প্রকাশ্যে আসা বাকি। তখন রাজনীতি কোন পথে এগোয় দেখতে আগ্রহী বিশ্লেষকরা।

কোহেনের স্বীকারোক্তিতে স্বভাবতই খাপ্পা প্রেসিডেন্ট। তার প্রাক্তন আইনজীবীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, প্রচারের আগে মুখ বন্ধ রাখার জন্য প্রেসিডেন্টের ‘গোপন প্রেমিকাদের’ গোপনে অর্থদান। ট্রাম্প আজ শুক্রবার সাক্ষাৎকারে সুর চড়িয়ে কোহেনকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘ওই কাজে প্রচারের আর্থিক আইন লঙ্ঘন করা হয়নি। কারণ প্রচার-সংক্রান্ত অর্থ থেকে ওই খাতে কোনো ব্যয়ই করা হয়নি। কোহেনকে দুষলেও দিনের শুরুতে ট্রাম্প ম্যানাফোর্টের পাশে দাঁড়ান।’ তিনি টুইটে লেখেন, ‘পল ম্যানাফোর্ট এবং তার পরিবারের জন্য খুব খারাপ লাগছে। বিচার বিভাগ ১২ বছরের পুরনো শুল্ক মামলায় তার উপরে চাপ সৃষ্টি করেছে। আপস করার জন্য মাইকেল কোহেনের মতো উনি ভেঙে পড়ে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলেননি। এমন সাহসী মানুষকে শ্রদ্ধা জানাই!’ কোহেনকে ঠুকে এরপরে তার টুইট, ‘কেউ যদি ভাল আইনজীবী খোঁজেন, ভুলেও কোহেনের কাছে যাবেন না!’

অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে এখন প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ট্রাম্পের প্রচার-দলের প্রাক্তন উপদেষ্টা মাইকেল ক্যাপুটোর সতর্কবাণী, ইমপিচমেন্ট হতে হয়তো আর কয়েক মাস অপেক্ষা। অভিযোগগুলি উল্লেখ করে তার মন্তব্য, ‘ইমপিচমেন্টে ডেমোক্র্যাটদের এগুলোই কাজে লাগবে। মিড-টার্ম ভোটে যদি ডেমোক্র্যাটরা হাউসের দখল নেন, তা হলে ইমপিচ করতে এই সব অভিযোগই যথেষ্ট।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads