• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
 সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল 

অং সান সু চি

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান 

সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল 

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩১ আগস্ট ২০১৮

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের ঘটনায় অং সান সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের বিদায়ী মানবাধিকার প্রধান জাইদ রা’দ আল হুসেইন। গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ করে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিবিসির কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

বিবিসির ইমোজেন ফুকসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হুসেইন বলেন, সু চি যে অবস্থানে আছেন, সেখান থেকে কিছু করতে পারতেন। তিনি চুপ করে থাকতে পারতেন- অথবা আরো ভালো হতো, তিনি যদি পদত্যাগ করতেন। বর্মী সেনার মুখপাত্র হওয়ার তার কোনো দরকার ছিল না। তিনি বলতে পারতেন, দেখ আমি, দেশের ন্যূনতম নেতা হওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি, কিন্তু এসব অবস্থা সহ্য করে নয়। কিন্তু তিনি যেভাবে ঘটনাটিকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছেন তা ‘গভীরভাবে দুর্ভাগ্যজনক’।  

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে সম্প্রতি মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে জাতিসংঘের স্বাধীন আর্ন্তজাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত সোমবার জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি জানায়, ব্যাপকহারে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয় মিয়ানমার সেনাদের সহিংস অভিযান থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন সু চি। কিন্তু ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। ‘পদ্ধতিগত জাতিগত নিধন’ অভিযানের জন্য অভিযুক্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আগেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে। 

তবে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় সমালোচিত সু চির নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার দাবি উঠলেও সেরকম কিছু করা হবে না বলে বুধবার নোবেল কমিটি জানিয়েছে। ১৯৯১ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। 

উল্লেখ্য, গত বছর মিয়ানমারের রাখাইনে পুলিশের চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের ভয়াবহ হামলার পর দমন অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। নৃশংসতার মধ্যে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং আগস্ট মাস থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ নিয়ে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা সংখ্যালঘু মুসলিম। তারা রাখাইনের আদি অধিবাসী হলেও তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমনকি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবেও স্বীকার করা হয় না। গত কয়েক বছর ধরে নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালিয়ে আসছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads