• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
গাছের ধাতব কান্না

বিশেষ গাছ থেকে বের হয়ে আসে গলিত নিকেল আর দস্তার মতো ধাতব পদার্থ

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

গাছের ধাতব কান্না

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গাছ কাটলে কান্নার মতো ঝরে পড়ে রঙিন আঠালো পদার্থ। স্থানীয়রা বলে, কষ্টে কেঁদে ওঠে গাছ। তবে গবেষকরা যা বলছেন তাও কম অবাক করার মতো বিষয় না। তারা জানান, পিকনানড্রা একুমিনেটা গোত্রের এই বিশেষ গাছ থেকে বের হয়ে আসে গলিত নিকেল আর দস্তার মতো ধাতব পদার্থ।

ফ্রান্সের নিউ ক্যালেডোনিয়ায়ই সাধারণত দেখা মেলে পিকনানড্রা একুমিনেটা গোত্রের গাছগুলোর। বিশালাকৃতির এই গাছের স্বাভাবিক উচ্চতা ৬৫ ফুট বা তার বেশি। এগুলোর ছাল কাটলে সবুজাভ নীলচে রঙের এক ধরনের আঠালো পদার্থ বের হয়। শুধু ছালই নয়, পাতা এমনকি এর বীজেও এই ধাতব পদার্থ বিদ্যমান।

বিরল এই গাছ নিয়ে গবেষণা করছেন দেশটির কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. অ্যান্তনি ভন দের এন্ত। তিনি বলেন, গাছ থেকে যে আঠালো পদার্থটি বের হয় এর মধ্যে ২৫ শতাংশ নিকেল ও দস্তা। এ ছাড়া আর কোন ধাতব পদার্থ কতটুকু পরিমাণে গাছগুলোয় আছে তা আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে মাইক্রোস্কোপিক পদ্ধতিতে গাছগুলোর নমুনা এক্স-রে করা হয়। যদিও এরপরও গাছের মধ্যে থাকা সব ধরনের উপাদানের অস্তিত্ব পুরোপুরি পাওয়া সম্ভব হয় না বলে জানান অ্যান্তনি। তারপরও ধারণা করা হয়, মাটি থেকেই ধাতব পদার্থগুলো টেনে নেয় এ গাছা। কারণ ফ্রান্সের যেসব অঞ্চলের মাটিতে ধাতব পদার্থ বেশি সেখানেই এই গাছগুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

অ্যান্তনি বলেন, এ গাছ খুবই ধীরে ধীরে বড় হয়। আর ফুল ও বীজ পেতে হলে তো এক যুগেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে গাছটি নিয়ে একক গবেষণায় কোনো সিদ্ধান্তে আসা খুবই কঠিন। গত শতকের ৭০-এর দশকে প্রথমবারের মতো গাছটি থেকে গলিত ধাতব বের হওয়ার বিষয়টি উদঘাটন করেন গবেষকরা। যদিও তখন উন্মুক্ত খনি খনন ও ক্যাম্প ফায়ারের কারণে এই গাছ প্রায় বিলুপ্ত হতে বসে। তবে বর্তমানে পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের কারণে এ গাছের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। বিবিসির খবর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads