• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
২৩ হাজার ময়নাতদন্ত করে মানসিক রোগী

ডা. শেফার্ড

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

২৩ হাজার ময়নাতদন্ত করে মানসিক রোগী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

২৩ হাজারেরও বেশি মানুষের দেহের ময়নাতদন্ত করা ব্রিটেনের প্যাথলজিস্ট ডা. রিচার্ড শেফার্ড এক সময় নিজেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় থাকার কারণে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে (পিটিএসডি) ভুগতে হয়েছে তাকে। খবর বিবিসি।

তিনি বলেন, আমার হয়তো বছরে একবার হলেও এই বিষয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট হিসেবে সাফল্যের শীর্ষে থাকা অবস্থায় বয়স ষাটের কোঠায় যাওয়ার পর নিজেই এই সমস্যা ধরতে পারলাম। তিনি জানান, একটা সময় আমি পানির গ্লাসে বরফের উপস্থিতি দেখতাম। এরপর আমি বুঝতে পারলাম আমার মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে বোমা হামলায় নিহতদের ময়নাতদন্ত করার পর থেকে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সে সময় মানসিক সমস্যার সূত্রপাত হলেও আরো বছর দশেক আগেই এর গোড়াপত্তন হয় বলে তিনি মনে করেন।

৯/১১-তে টুইন টাওয়ারে বোমা হামলায় নিহতদের থেকে শুরু করে ২০০৫ সালের লন্ডন হামলার শিকার, ১৯৯৩ সালে খুন হওয়া সাড়া জাগানো স্টিফেন লরেন্স থেকে শুরু করে প্রিন্সেস ডায়নার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে তিনিই ছিলেন। তিনি জানান, এক জায়গায় ২০০টি টুকরো টুকরো ক্ষতবিক্ষত প্রাণহীন দেহ যেকোনো মানুষের মনে একটি ছাপ রেখে যায়। এটাই স্বাভাবিক। গত ৩৫ বছর ধরেই মৃত্যুর সঙ্গে আমার পরিচয়। এমন একটা সময় আসে যখন এটাকে দৈনন্দিন জীবন থেকে আলাদা করা সম্ভব হয় না। 

নিজের নতুন বইয়ে ডা. শেফার্ড লিখেছেন, এক সময় চোখ বন্ধ করতেও অস্বস্তি বোধ করতাম। চোখ বন্ধ করলে মনে হতো রক্তাক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমার চিন্তাকে গ্রাস করবে। পরিপাকতন্ত্র, স্যাঁতসেঁতে যকৃৎ, স্পন্দনহীন হূদয়, ছিন্ন হাত, দম আটকানো রক্তের গন্ধ শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা দিত। মাঝে মাঝে মনে হতো এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই ভালো। যদিও পোস্ট-মর্টেম বা ময়নাতদন্ত কোনো নির্দয় বিষয় নয়। ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে মূল কাজটিই হলো সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করা। সত্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- আমি এই নীতিতে বিশ্বাসী। সবসময় চেষ্টা করি পরিবারকে সবচেয়ে নিখুঁত তথ্য জানানোর। মৃতের পরিবারের সদস্যরা সবচেয়ে বেশি যেটা জানতে চায় তা হলো, মৃত্যুর সময় কী সে ব্যথা অনুভব করেছিল?

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads