• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
আরব আমিরাতে রোববার থেকে নতুন ভিসা পদ্ধতি চালু

আমিরাতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন এ ভিসা পদ্ধতির কারণে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবে

সংগৃহীত ছবি

প্রবাস

আরব আমিরাতে রোববার থেকে নতুন ভিসা পদ্ধতি চালু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ অক্টোবর ২০১৮

আগামী রোববার থেকে আরব আমিরাতে চালু হচ্ছে নতুন ভিসা পদ্ধতি। দেশটির ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ (এফএআইসি) এই ঘোষণা দিয়েছে। নুতন এ ভিসা পদ্ধতিতে আমিরাত প্রবাসীদের পরিবার, ভিজিটর ভিসা প্রাপ্ত ও শিক্ষার্থীরা বিশেষ কিছু সুবিধা পাবে বলে জানা গেছে। এফএআইসির মহাপরিচালক জানান, এ ভিসার জন্য আবেদন করতে বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের কোনো টাকার প্রয়োজন হবে না।

এর আগে আমিরাতে বসবাসকারী কোনো নারীকে তার স্বামীর মৃত্যু হলে কিংবা তালাক দিলে সন্তানসহ দেশে ফিরে আসতে হতো। কিন্তু নতুন এই আইনের কারণে এখন তাদের আর আমিরাত ছেড়ে আসতে হবে না। এই ভিসা পদ্ধতির আওতায় বিধবা এবং তালাকপ্রাপ্ত নারী ও তাদের সন্তানরা ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে আরো এক বছর সেখানে থাকার সুযোগ পাবেন।

এ ছাড়া যাদের ভিজিট ভিসা আছে তারা দেশটিতে থাকা অবস্থায় এবং আমিরাত ছাড়ার আগে সর্বোচ্চ দু’বার ৩০ দিন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এ সুবিধা পেতে প্রতিবার তাদের ৬০০ দিরহাম খরচ করতে হবে। এ ছাড়া আমিরাতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন এ ভিসা পদ্ধতির কারণে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবে।

এর আগে গত ২৯ জুলাই দেশটির জেনারেল ডাইরেক্টরি অব রেসিডেন্সি ফর অ্যাফেয়ার দুবাই এর মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আল মারি সংযুক্ত আমিরাতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিতে ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছে তাদের জন্য অ্যামনেস্টি (রাজ ক্ষমা) হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে একটি উপহার। এ সময়ের মধ্যে ‘স্পন্সর’ খুঁজে বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার।

বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে ১০ শতাংশের কম অভিবাসী নানা কারণে অবৈধ হয়ে গেছে। এবারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় ভিসা ট্রান্সফার ও অন্যান্য ইস্যুতে অন্যান্য দেশের জন্য আমিরাত যেসব সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তার সবই বাংলাদেশিরাও পাবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশেরও প্রায় ৮ লাখ মানুষ কাজ করছেন দেশটিতে। তাদের মধ্যে ৫০ হাজার বাংলাদেশি অবৈধভাবে আছে বলে জানা যায়। এর আগে ১৯৯৬, ২০০২, ২০০৭ এবং ২০১৩ সালেও দেশটির সরকার সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিলেও বৈধ হতে না পারার কারণে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়তে বাধ্য হন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads