• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু আজ

বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু ‘হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও’

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

যান চলাচলের জন্য খুলছে ৫৫ কিমি দীর্ঘ সেতু

বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু আজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর ২০১৮

বিস্ময়কর সব অবকাঠামো নির্মাণে চীনের ঐতিহ্য হাজার বছরের। সেই ২৩০০ বছর আগে দেশটি নির্মাণ করে প্রায় ১৩ হাজার ১৭০ মাইল দীর্ঘ একটি প্রাচীর। প্রায় হাজার বছরের কর্মযজ্ঞে মহাপ্রাচীর হিসেবে খ্যাত এই অবকাঠামোটি চীন নির্মাণ করেছিল শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে। তবে আধুনিক চীনে এমন অসংখ্য অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে দেশের জনগণের সুবিধা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা চিন্তা করে।

২০০৯ সালেও তেমন একটি অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করে দেশটির সরকার। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে হংকংয়ের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে সমুদ্রের ওপর দিয়েই ৫৫ কিলোমিটার বা ৩৪ মাইল দীর্ঘ সেতু তৈরির কাজ শুরু করে চীন সরকার। প্রায় ৯ বছর ধরে নির্মাণযজ্ঞ চালানোর পর আজ মঙ্গলবার যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সেতুটি। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বের দীর্ঘতম এই সেতুটি উদ্বোধন করবেন। ‘হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও’ নামের এই বিস্ময়কর অবকাঠামোটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে গুয়াংডং প্রদেশে।

দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, সেতুটি সংশ্লিষ্ট এলাকার ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের জীবনে প্রত্যক্ষ অবদান রাখবে। এ ছাড়া পুরো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে রাখবে বিশেষ ভূমিকা।

উত্তাল সমুদ্রের ওপর সেতুটি তৈরি করতে অবশ্য কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি প্রকৌশলীদের। সমুদ্রের তলদেশে মজুত গ্যাস অপসারণ, বার্ষিক সামুদ্রিক ঝড়ের গতিবেগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নকশা প্রণয়নসহ অনেক অসাধ্যকেই সাধন করতে হয়েছে তাদের। কাজটি করতে চীনা প্রকৌশলীদের সঙ্গে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, জাপান ও নেদারল্যান্ডসের প্রকৌশলীরাও।

সেতুটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাওয়ের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনকারী সেতুটি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমৃদ্ধ করবে। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে কমপক্ষে ৪০ হাজার গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে হংকং যেতে আগে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন লাগবে মাত্র ৩০ মিনিটের কাছাকাছি। সেতুটি চীনের মোট ১১টি শহরকে সংযুক্ত করবে।

প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারে তৈরি সেতুটি দিয়ে কোনো ধরনের সংস্কার ছাড়া ১২০ বছর পর্যন্ত যান চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads