• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
পার্লামেন্টে রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা

মহিন্দ্রা রাজাপাকসে

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

পার্লামেন্টে রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা

শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূতের শঙ্কা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০১৮

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা নিযুক্ত নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়েছে দেশটির পার্লামেন্টে। গতকাল বুধবার পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যের আনা প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর ফলে দেশটির চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট আরো ঘনীভূত হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্লেষকরা। খবর আলজাজিরা ও এনডিটিভি।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকালে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট সিরিসেনা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের যে নির্দেশ জারি করেন তা বাতিল করে দেয়। এর পরদিনই পার্লামেন্টে এ অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলো। স্পিকার কারু জয়সুরিয়া বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য অর্থাৎ ২২৫ জন রাজাপাকসের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন। ৭২ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রায় এক দশক দেশটি শাসন করেন। তার বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধ বন্ধে তামিল গেরিলাদের ওপর নৃশংস অভিযান ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

তবে এর মাধ্যমে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনধারী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) প্রধান রনিল বিক্রমসিংহে ক্ষমতার রেষারেষিতে বিজয়ী হয়েছেন, এমনটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ক্ষমতা এখনো প্রেসিডেন্টের হাতেই আছে। বিরোধীদলীয় নেতা আর সাম্বান্থান বলেন, রাজাপাকসের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলে তাতে অধিকাংশ সদস্য  সমর্থন দেন।

স্পিকার ভোটের আহ্বান জানানোর আগ মুহূর্তে পার্লামেন্ট থেকে বের হয়ে যান রাজাপাকসে ও তার ছেলে নমলপাকসে। এ সময় তাদের অনুসারী সংসদ সদস্যরা ভোট বানচালের চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্পিকার তা উপেক্ষা করে ভোট পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহেকে বরখাস্ত করে তার জায়গায় রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। তখন থেকেই দেশটিতে শুরু হয় রাজনৈতিক সঙ্কট। বিক্রমসিংহে নিজেকে বৈধ দাবি করে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত মানবে না বলে ঘোষণা দেয়। তার মতে নিয়ম অনুযায়ী একমাত্র পার্লামেন্টই তাকে অপসারণ করতে পারে। এরপর থেকে দেশটি দুজন প্রধানমন্ত্রী নিয়ে সঙ্কটে পড়ে।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ৫ জানুয়ারি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট এই আদেশ বাতিল করে দেওয়ার পর পার্লামেন্টে রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ায় সঙ্কট আরো ঘনীভূত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতি নিয়ে  উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু চীন। রাজাপাকসের নিয়োগকে শুধু বেইজিংই সমর্থন দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রাজপাকসের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন সিরিসেনা। পরে রাজাপাকসের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে তার বিরুদ্ধেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ান এ ইউপিএফএ নেতা। সেসময় তাকে সমর্থন দেন বিক্রমসিংহে। পরে সংসদ নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ইউএনপি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads