• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
মতিয়ার কি পারবে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে?

হতভাগ্য মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান

ছবি : বাংলাদেশের খবর

প্রবাস

মতিয়ার কি পারবে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে?

  • আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০১৮

পরিবারের অভাব মোচনে ভাগ্য বদল করতে মতিয়ার পাড়ি দিয়েছিলেন স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায়। নিজেই এখন দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে মুমূর্ষু অবস্থায় কাতরাচ্ছেন এ রেমিটেন্স যোদ্ধা।

হতভাগ্য মালয়েশিয়া প্রবাসীর নাম মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান, পিতা সামসুর রহমান, পাবনার আতাইকুলা থানার সড়াডাংগী কড়ই তলা গ্রামের সামছুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান, মালয়েশিয়ার সাবা বারনাম সরকারি হাসপাতালে নিবিড় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মতিয়ার রহমানের স্বজন ও হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গত মার্চ মাসে কে বা কাহারা তাকে অপহরণ করার পর মুক্তিপন না পেয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে মৃত ভেবে জঙ্গলে ফেলে যায়। পরে প্রবাসীরা তাকে অর্ধমৃত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে।

মতিয়ার রহমানের মেয়ে পপি মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, আমার বাবা (মতিয়ার) ১০/১২ বছর মালয়েশিয়া থাকাকালিন আমাদের সাথে তেমন কোন যোগাযোগ ছিল না মাঝে মধ্যে কথা হতো।

হঠাৎ করে একদিন বাবা দেশে চলে আসেন এবং প্রায় দুইবছর আমাদের সাথে থাকেন। সংসারের অভাব অনটন দেখে আবারও মালয়েশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা সবাই নিষেধ করি বিদেশ যেতে। ভাগ্যের লিখন না যায় খণ্ডন। দালালের মাধ্যমে অন্যের নামে পাসপোর্ট করে বিভিন্ন মানুষের কাছে চড়া সূধে টাকা ধার নিয়ে টুরিস্ট ভিসায় ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে আবারও পাড়ি জমান স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায়। মালয়েশিয়া গিয়ে যে তার এমন বিপদ হবে তা কে জানে। হঠাৎ করে মার্চ মাসের ২০ তারিখে আমাদের ফোনে একটা কল আসে, বলে মতিয়ার কে বাঁচাতে হলে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে তা না হলে তাকে মেরে ফেলা হবে। অভাবের সংসার এমনিতেই ঋণের টাকা শোধ হয়নি এর মধ্যে আবার এতো টাকা কোথায় পাবো আমরা। এর পর থেকে আর আমার বাবার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।

এর মধ্যে কেটে যায় বেশ কয়েক মাস হঠাৎ করে একটি অনলাইন পত্রিকায় বাবার ছবি সহ একটা নিউজ পড়ি। পরে আমরা এই অনলাইনের সাংবাদিক মোহাম্মদ আলীর সাঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বাবাকে দেশে পাঠাতে অনুরোধ করি। তিনি আমাদের জানান চিকিৎসা বাবদ হাসপাতালের বিল এবং ট্রাভেল পাস ও টিকিট সহ প্রায় ১২ হাজার রিংগিত যা প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার টাকা লাগবে। এই টাকা দেয়ার মতো মতিয়ারের পরিবারের কোন সামর্থ নেই।

সমাজে যারা দানশীল ব্যক্তি রয়েছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে মতিয়ারের মেয়ে পপি আবেদন জানিয়েছেন তার অসুস্থ বাবাকে তাদের মাঝে ফিরেয়ে দিতে। ভাগ্যাহত রেমিটেন্স যোদ্ধা মতিয়ার পারবে কি দেশে ফিরতে? মতিয়ারের মেয়ে অভাগি পপি পথ অপেক্ষায় রয়েছে তার অসুস্থ বাবাকে ফিরে পেতে।

আপনারা যারা মানবিক সহযোগিতা করতে চান তারা এই ঠিকানায় যোগাযোগ করুন - সাংবাদিকঃ মোহাম্মদ আলী, বাংলা টিভি, মোবাইলঃ- 006016365 3965, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads