• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ইয়াঙ্গুন উপকূলে নৌকা থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা গ্রেফতার

মিয়ানমারের ইয়াংগুনের উপকূলে শতাধিক রোহিঙ্গা আটক

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

ইয়াঙ্গুন উপকূলে নৌকা থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা গ্রেফতার

প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০১৮

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণের তাগিদ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে মিয়ানমার সরকার ইয়াঙ্গুন উপকূলে একটি নৌকা থেকে শতাধিক রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে। সমস্যার সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ফেইথ কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের সংবিধান পরিবর্তন করে রোহিঙ্গাদের দেশটির জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে।

মার্কিন সিনেটর এড মার্কি বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে কাজ করে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছাপ্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আগের পরিকল্পনা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান এই মার্কিন সিনেটর। এদিকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মার্কিন সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির প্রশাসক মার্ক গ্রিন বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যেন শিক্ষা নিয়ে শিশুরা ভালোভাবে দেশে ফিরতে পারে। ইয়াঙ্গুন উপকূলে একটি নৌকা থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম আরোহীকে গ্রেফতার করেছে মিয়ানমারের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, জীবন বাঁচাতে সাগরপথে ঝুঁকি নিয়ে ভিনদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের এক অভিবাসন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব কথা জানিয়েছে। গ্রেফতার করা ওই রোহিঙ্গারা রাখাইনের মুসলিম সম্প্রদায়ের এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন তারা।

গত সপ্তাহে মিয়ানমারের কর্মকর্তা ও ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রোহিঙ্গাদের নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির সদস্য আয়ে মিয়া মিয়া মিও তার ফেসবুকে একটি নৌকার ছবি দিয়েছেন। সেখানে নারী, পুরুষ ও শিশুদের দেখা যাচ্ছে। মিয়া মিও জানান, নৌকায় ৫০ জন পুরুষ, ৩১ নারী ও ২৫ শিশু রয়েছে।

এ অবস্থায় সমস্যার সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন ফেইথ কোয়ালিশনের পক্ষে মিয়ানমারের সংবিধান পরিবর্তন করে রোহিঙ্গাদের দেশটির জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনটির মুখপাত্র নিকলি অ্যামব্রোস বলেন, মিয়ানমারের সংবিধান পরিবর্তন করে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সংগঠনটি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর হামলার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি দেখা করেন। এ সময় মাইক পেন্স রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার বিষয়ে একটি কঠোর বিবৃতি দেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads