• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলে নিখোঁজ হাজারেরও বেশি

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলে নিখোঁজ হাজারেরও বেশি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৮ নভেম্বর ২০১৮

উত্তরাঞ্চলের ‘ক্যাম্প ফায়ার’ অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জনের মৃত্যু ও আরো এক হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে হাজার হাজার বাড়িঘর। হতাহতদের দেহাবশেষ ও ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারে ফরেনসিক দল ও কুকুরকে সহায়তা করছেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। বিবিসির খবর।

ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন যে ক’টি দাবানল সক্রিয় তার মধ্যে ‘ক্যাম্প ফায়ার’ই সবচেয়ে আগ্রাসী। এ আগুনে শুক্রবার একদিনেই আটজনের মৃতদেহ মিলেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যাও বেড়েছে চারশ’র বেশি।

বুটে কাউন্টির শেরিফ কোরে হোনিয়া বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের হাতে যত নিখোঁজ ব্যক্তির নাম আসছে তার সবই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছি। নিখোঁজ অনেকে ভালো আছেন বলেই ধারণা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু আত্মীয়-স্বজন তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় নিখোঁজের তালিকায় নামগুলো রাখা হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ১ লাখ ৪২ হাজার একর এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, যার মধ্যে আছে ২৭ হাজার মানুষের প্যারাডাইস শহরও। বিবিসি বলছে, ‘ক্যাম্প ফায়ার’ এরই মধ্যে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষকে বাড়ি ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য করেছে। যাদের অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন জরুরি সেবাকেন্দ্রে, কারো স্থান হয়েছে পরিবারের অন্য সদস্য বা বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে; বাকিরা নিরাপদ স্থানে তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন।

আগুনের ভয়াবহতা দেখতে ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে স্থানীয় সময় শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়ার দমকল বিভাগ ৪৫ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করছে। সম্পূর্ণ দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিতে এ মাস লেগে যেতে পারে বলেও অনুমান তাদের।

সাধারণত গ্রীষ্ম থেকে শরতের শুরু পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘দাবানল মৌসুম’ চলে। কম আর্দ্রতা, উষ্ণ বাতাস, বৃষ্টিহীন মাসের পর শুষ্ক মাটি দাবানলের জন্য দায়ী। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এখন সারাবছরই এ ঝুঁকি থাকবে বলে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads