• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিঘাত ইমরানের

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইমরান খান

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিঘাত ইমরানের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৮

টুইটারে একে অন্যের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও বিষোদগারে নেমেছেন দুই মিত্র দেশের প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইমরান খান। পাকিস্তানকে হাজার হাজার কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দিলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কিছু করেনি- ট্রাম্পের এমন অভিযোগের পরই ইমরানও পাল্টা জবাব দেন। টুইটার বার্তায় ইমরান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা না বানিয়ে ওয়াশিংটনের উচিত আফগানিস্তানে আগের চেয়ে তালেবান এখন কেন বেশি শক্তিশালী, তার কারণ খতিয়ে দেখা। এর ফলে দু’দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো অবনতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আল জাজিরার খবর।

ফক্স নিউজকে গত রোববার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, পাকিস্তানকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়া হলেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তারা কানাকড়ি কাজও করেনি। উল্টো তারা ওসামা বিন লাদেনকে তাদের সামরিক স্থাপনার কাছেই চমৎকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকতে সহায়তা করেছিল। পাকিস্তানকে আর কোনো অর্থ দেওয়া হবে না বলেও হুশিয়ার করেন তিনি।

এরপরই তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন ইমরান। তিনি টুইট বার্তায় বলেন, ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্যের জবাব দিতে কিছু রেকর্ড তুলে ধরা প্রয়োজন। ১ নম্বর- ৯/১১ হামলায় কোনো পাকিস্তানি জড়িত না থাকা সত্ত্বেও ইসলামাবাদ আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ২ নম্বর- এই যুদ্ধে ৭৫ হাজার পাকিস্তানি নিহত হন। দেশের আর্থিক ক্ষতি হয় ১২৩ বিলিয়ন ডলারের। অথচ আমেরিকার কথিত সাহায্য ছিল মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলার।

এরপরই আরেক টুইটে ইমরান প্রশ্ন করেন, আফগানিস্তানে মোতায়েন হাজার হাজার মার্কিন সেনার রসদ সরবরাহের জন্য এখনো পাকিস্তান তার স্থল ও আকাশসীমা খুলে রেখেছে। আর একটা মিত্রের নামও কি ট্রাম্প বলতে পারবেন, যে এত ত্যাগ স্বীকার করেছে? একই সঙ্গে তিনি আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, দেশটিতে এক লাখ ৪০ হাজার ন্যাটো সেনা ও এর সঙ্গে আরো দুই লাখ ৪০ হাজার আফগান সেনা মোতায়েন এবং একই সঙ্গে দেশটিতে তথ্যানুযায়ী এক লাখ কোটি ডলার ব্যয় করা সত্ত্বেও সেখানে তালেবানরা আবারো কী করে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে?

এরপরই আরেক টুইটে ট্রাম্প হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, আমরা পাকিস্তানকে আর অর্থ দেব না। কারণ, তারা অর্থ নিয়ে আমাদের জন্য কিছুই করেনি। লাদেনের ঘটনা তার বড় উদাহরণ। আফগানিস্তানও এ রকম আরেকটি উদাহরণ। এ রকম আরো অনেক দেশ রয়েছে যারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে শুধুই নিয়েছে, দেয়নি কিছুই। এসবের শেষ এখানেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads