• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
খাশোগি হত্যারহস্য ৪০০ মেসেজে!

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

খাশোগি হত্যারহস্য ৪০০ মেসেজে!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

সাংবাদিক জামাল খাশোগি শুধু তার কলামেই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচনা করেননি, ব্যক্তিগতভাবে আদান-প্রদানকৃত বেশ কিছু মেসেজেও এর প্রতিফলন ছিল। কানাডায় নির্বাসিত এক সৌদি অ্যাক্টিভিস্টের কাছে পাঠানো চারশ’রও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে যুবরাজ সম্পর্কে বার বার সতর্ক করতে দেখা গেছে তাকে। হত্যার শিকার হওয়ার আগের এক বছরে অ্যাক্টিভিস্ট ওমর আবদুল আজিজকে মেসেজগুলো পাঠিয়েছিলেন খাশোগি। এদিকে খাশোগি হত্যার সময় যুবরাজ নিজের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা সৌদ আল কাহতানিকে ১১ বার ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। সিআইএ’র বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। খবর সিএনএন। 

আবদুল আজিজকে পাঠানো মেসেজগুলোতে সৌদি যুবরাজকে প্রায়ই জানোয়ার ও গ্রাসকারী হিসেবে উল্লেখ করতেন খাশোগি। যুবরাজকে নিয়ে শঙ্কা ছিল তার। একটি মেসেজে দেখা গেছে ‘যত বেশি শিকার করতে পারেন, তত বেশি তার (যুবরাজ) শিকারের আকাঙ্ক্ষা বাড়ে। আরেকটি মেসেজে যুবরাজ সম্পর্কে লিখেছেন- ‘তিনি জোরজবরদস্তি, দমন-পীড়ন পছন্দ করেন এবং সেগুলো দেখাতে খুব আগ্রহী। এসব অত্যাচারের পেছনে কোনো যুক্তি থাকে না। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজগুলো হত্যারহস্য উদঘাটনের সূত্র হতে পারে বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে।

আজিজ নভেম্বরে খাশোগির সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়গুলো প্রকাশ করেন। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যখন জানান, তার মোবাইল ফোন হ্যাক হয়েছে এবং সামরিক গ্রেডের স্পাইওয়্যার দিয়ে তা হয়েছে- তখনই বিষয়টি প্রকাশ করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটিজেন ল্যাবের গবেষককে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানায়, ওই সফটওয়্যারটি সৌদি সরকার স্থাপন করেছে। স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা দুই ব্যক্তিকে নিশানা করতে এটি করা হয়েছিল। ফোন হ্যাক হওয়ায় সন্দেহ করা হচ্ছে, সৌদি কর্মকর্তারা খাশোগির মেসেজগুলো আগেই পড়ে ফেলেছিলেন। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘জামালের সঙ্গে ঘটা ঘটনায় আমার ফোন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি বড় ভূমিকা রেখেছে। এটা ভাবতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। এ অপরাধবোধ আমাকে শেষ করে দিচ্ছে।

সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্রতিরোধের পরিকল্পনা করেছিলেন খাশোগি ও আজিজ। তারা সাইবার বীস নামে একটি পোর্টাল খুলতে চেয়েছিলেন। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত নথি প্রকাশ ও শর্ট ফিল্ম প্রচারের পরিকল্পনা ছিল। 

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কন্স্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হন খাশোগি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে সৌদি জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে খুন হন তিনি। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ নাকচ করে আসছে। হত্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও রহস্যের সুরাহা এখনো হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads