• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বেক্সিট নিয়ে নিম্নকক্ষে হারলেন মে

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

বেক্সিট নিয়ে নিম্নকক্ষে হারলেন মে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮

পার্লামেন্টের ভোটে ওঠার আগেই ব্রেক্সিটের খসড়া চুক্তি নিয়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ও থেরেসা মের সম্মতিতে অনুমোদন পায় বেক্সিটের এই খসড়া চুক্তি। বিবিসির খবর।

যেভাবে তড়িঘড়ি করে ব্রেক্সিট নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছিলেন থেরেসা মে; এই হারের পর তা বড়সড় ধাক্কা খাবে। ব্রিটিশ এমপিদের একাংশ দাবি জানিয়েছিলো এ চুক্তি সংক্রান্ত যে আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ প্রকাশ করুক সরকার। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে ধাক্কা লাগতে পারে, এই কারণ দেখিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ্রি কক্স ওই নথির সারাংশ প্রকাশ করে সোমবার হাউস অফ কমন্সে এ নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করেন। তাতেই শুরু হয় তীব্র বিরোধিতা।

এর ফলেই নিম্নকক্ষে ৩১১-২৯৯ ভোটে ব্যাধানে মে হেরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ইইউর সঙ্গে হওয়া চুক্তিটি পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হলে কী করতে হবে সরকারকে সে সংক্রান্ত পরিকল্পনা ২১ দিনের মধ্যে হাউস অব কমন্সে তুলতে মঙ্গলবার অন্য একটি প্রস্তাবেও সাংসদরা সায় দেন। এ ভোটগুলোতে হেরে যাওয়ায় সরকার ‘ভয়াবহ বিপদে’ পড়তে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ভিন্স কেবল। টরিজা মে-র সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাষ্পে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে তার চুক্তিটির সক্ষমতাও বাষ্পীভূত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

লেবার নেতা জেরমি করবিন ইইউর সঙ্গে হওয়া এ খসড়া চুক্তিটিকে ‘বাজে’ অ্যাখ্যা দিয়ে একে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান। তার দল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার এ হাউস তার সিদ্ধান্ত জানাবে। এটি প্রত্যাখ্যাত হবে বলেই আমার প্রত্যাশা। এ বিষয়ে সরকার হাউসের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। হয় তারা ইইউর কাছ থেকে আরো ভাল চুক্তি নিয়ে আসুক নয়তো যারা তা করতে পারবে তাদের হাতে ছেড়ে দিক। আগামী সপ্তাহের পার্লামেন্ট ভোটে প্রধানমন্ত্রীর চুক্তিটি প্রত্যাখ্যাত হলে কী ঘটবে তা কমন্সকে জানাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের রায় পড়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ এ ভোটগুলোতে পরাজয়ের পর অসন্তোষ লুকাননি মে। বলেছেন, ২০১৬-র গণভোটের রায় বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদের দায় আছে। ইইউয়ের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে যুক্তরাজ্যের জন্য থাকা প্রস্তাবগুলোকে ‘সম্মানজনক সমঝোতা’ হিসেবেও অভিহিত করে তিনি বলেন, আমি কখনোই বলিনি চুক্তিটি নিখুঁত, এমনটা কখনোই হয় না। মধ্যস্থতার প্রকৃতিই এমন। ব্রিটিশ জনগণের জন্য এটিই যে সবচেয়ে ভালো চুক্তি হতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি। সংবিধান ও দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থে এ চুক্তিতে সমর্থন দিতে আপনাদের প্রতি অনুরোধ করছি।

দীর্ঘ আলোচনার পর গত মাসে থেরেসা মে ও ইইউ নেতারা ব্রেক্সিট নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারলেও, সেটি চূড়ান্তভাবে কার্যকরে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সমর্থন লাগবে। চুক্তিটি গৃহীত না প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে, তা ১১ ডিসেম্বরের ভোটে নিশ্চিত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads