• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ জড়িত না থাকার সম্ভাবনা শূন্য

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও নিহত জামাল খাশোগি

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ জড়িত না থাকার সম্ভাবনা শূন্য

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮

জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত না থাকার সম্ভাবনা শূন্য।  হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর রুদ্ধদ্বার ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া সিনেটররা এমনটাই মনে করছেন। খবর বিবিসি, আলজাজিরা।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর খাশোগি হত্যার অডিও রেকর্ড ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ নিয়ে গত মঙ্গলবার সিনেটেরদের ব্রিফ করেন সিআইএ প্রধান জিনা হাসপেল। এতে উপস্থিত ছিলেন সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সিনেটর বব মেনেনদেজ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার মতামত আগে যা ছিল, এখন তা আরো জোরালো হয়েছে।

খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এর আগেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইয়েমেনে সৌদি জোটের সামরিক আগ্রাসন বন্ধেও যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ চান তিনি। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই বার্তা স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে পৌঁছে দিতে হবে যে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে (খাশোগি হত্যা) সমর্থনের কোনো সুযোগ নেই।

বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, যুবরাজের লোকজনই সমন্বিতভাবে এটি ঘটিয়েছে। আপনি যদি এমন উপসংহারে পৌঁছাতে না চান তাহলে আপনাকে জেনেশুনে অন্ধ হতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসন এ ঘটনায় যুবরাজের সম্পৃক্ততা প্রমাণের বিষয়টি স্বীকার করতে চায় না। তিনি আরো বলেন, সৌদি যুবরাজ একজন বিধ্বংসী গোলা, উন্মাদ ও বিপজ্জনক। যুবরাজ মোহাম্মদ যতক্ষণ ক্ষমতায় আছেন ততক্ষণ ইয়েমেনে সৌদি সম্পৃক্ততা কিংবা সৌদি আরবের অস্ত্র বিক্রি আমি সমর্থন করব না।

সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর বব করকার বলেন, যুবরাজ এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এটি পর্যবেক্ষণ করেছেন এ ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। বিচারের মুখোমুখি হলে তাকে ৩০ মিনিটের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট, উভয় দলের সিনেটররা জানিয়েছেন, তারা এমন একটি প্রস্তাব পাস করতে চান যাতে যুক্তরাষ্ট্র খাশোগি হত্যার নিন্দা করে। এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরবকে একটি বার্তা দেওয়া যায়। কোন প্রক্রিয়ায় এটি হবে তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

অনেক ডেমোক্র্যাট চান সংশোধনী ছাড়াই ইয়েমেনে সৌদি জোটের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সব সমর্থন বন্ধে ‘ওয়্যার পাওয়ার রেজল্যুশনের’ অধীনে কংগ্রেসের উচ্চ অথবা নিম্নকক্ষের সরাসরি ভোট। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার কিছু অনুগামীর মতে, ওয়াশিংটনের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়, যার ফলে রিয়াদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads