• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আজ বন্ধ আইফেল টাওয়ার ও ল্যুভর মিউজিয়াম

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন

আজ বন্ধ আইফেল টাওয়ার ও ল্যুভর মিউজিয়াম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮

জ্বালানি তেলের বাড়তি কর নিয়ে ফ্রান্সে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনের কারণে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার ও ল্যুভর মিউজিয়াম আজ শনিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সহিংসতা মোকাবেলায় দেশজুড়ে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ জানিয়েছেন। রাজধানী প্যারিসে সাঁজোয়া যান নামানোর ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। বিবিসি, সিএনএনের খবর।

জ্বালানি তেলের ওপর বাড়তি কর আরোপের প্রতিবাদে টানা তিন সপ্তাহ ধরে রাজধানী প্যারিসসহ ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ নগরীগুলোতে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহযোগিতায় আন্দোলন ফ্রান্সজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর সরকারবিরোধী রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেও এটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স চালক ও শিক্ষার্থীরাও নিজ নিজ দাবিতে মাঠে নেমেছে।

এ অবস্থায় ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ এদুয়া গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেন, শনিবার আইফেল টাওয়ার খুলবে না। ফ্রান্সজুড়ে ৮৯ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন থাকবে। প্যারিসের চ্যাম্পস-এলিসিস-এ দোকান ও রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। বাইরে থাকা টেবিল-চেয়ারও সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ফুটবল ম্যাচও।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, শনিবার ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায়’ সহিংসতার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। টিভি চ্যানেল টিএফওয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জানান, প্যারিসে সাঁজোয়া যানসহ ৮ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সবাইকে আবারো শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এদুয়া বলেন, আমরা এখানে এমন মানুষদের মুখোমুখি হচ্ছি যারা বিক্ষোভ করতে আসেনি, ধ্বংস করতে এসেছে। আমরা তাদেরকে অবাধ শাসন চালাতে দিতে পারি না।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে আয়োজিত এসব প্রতিবাদ বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা ট্যাক্সি চালকদের ব্যবহূত ইয়েলো ভেস্ট পরে আন্দোলন করছে বলে এটা ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন নামে পরিচিতি পেয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে গত শনিবার প্যারিসে সবচেয়ে সহিংস বিক্ষোভ হয়। ওই দিন অন্তত চারজনের নিহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনের ডামাডোলে দেশজুড়ে সহিংসতা ও লুটতরাজ চলেছে, বেশ কয়েকটি স্থাপনা ও ভাস্কর্যও ভাঙা হয়েছে।

এই শনিবারও বিক্ষোভ সহিংস রূপ ধারণ করতে আশঙ্কায় তাই প্রশাসন আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর আগে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ থামাতে আগামী বছরের বাজেট প্রস্তাব থেকেও জ্বালানির ওপর বাড়তি করারোপের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ফিলিপ বলেন, সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত, এটা দেখাতে ২০১৯ এর বাজেট বিল থেকেও বাড়তি করের বিষয়টি বা দেওয়া হয়েছে। যদিও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখতে গত মঙ্গলবারই তিনি ছয় মাসের জন্য ওই বাড়তি কর নেওয়া স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ সিদ্ধান্তকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর জন্য ‘বড় ধরনের পরাজয়’ হিসেবেই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও বাজেট ঘাটতি মেটাতে ম্যাখোঁ জ্বালানির ওপর বাড়তি করারোপ খুবই প্রয়োজনীয় বলে আগে মন্তব্য করেছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads