• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
উ. কোরিয়াকে ৫০ কোটি ডলার জরিমানা

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

নির্যাতন করে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী হত্যা

উ. কোরিয়াকে ৫০ কোটি ডলার জরিমানা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে কারাগারে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগে উত্তর কোরিয়াকে ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি জরিমানা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল কোর্ট। নিহত ছাত্রের নাম ওটো ওয়ার্মবিয়ার। গত মঙ্গলবার বিচারক রায়ে বলেন, এই মৃত্যুর জন্য কিম জং উনের প্রশাসন দায়ী। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও ন্যাশনাল পোস্ট। 

যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছর ওটোর মৃত্যু হয়। এ খবর পেয়েই বেজায় চটেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে কিম প্রশাসনকে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর তকমা দিয়েছিলেন। হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, এমন দেশকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয়, তা আমাদের ভালোই জানা আছে। গত মঙ্গলবার আদালতে দাঁড়িয়ে ওটোর মা সিন্ডি ওয়ার্মবিয়ারও একই কথা বলেন। তার মতে, পৃথিবীতে আজো একটা অশুভ শক্তি আছে; আছে একটা শয়তান- সেটা হলো উত্তর কোরিয়া। ওরাই আমার ছেলেকে মেরেছে। এর বিচার চাই।

এ রায় কিমের জন্য বেশ কড়া বার্তা বলেই মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের একটা বড় অংশ। গত জুনে সিঙ্গাপুরে কিম-ট্রাম্পের ঐতিহাসিক বৈঠকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্মত হয়েছিল উত্তর কোরিয়া। কিন্তু এখনো পিয়ংইয়ংয়ের তরফ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের একাংশের। তার ওপর নতুন করে জরিমানার ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের সুবাতাসে টানাপড়েন সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

রায় শুনে কিছুটা শান্ত ছিলেন ওটোর বাবা ফ্রেড ওয়ার্মবিয়ার। বলেন- লড়াইটা কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। ছেলেকে কথা দিয়েছিলাম। কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক জানান, পিয়ংইয়ং যখন ওটোকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়, তখন সে সম্পূর্ণ অথর্ব, অন্ধ, শ্রবণশক্তিহীন। চিকিসকরা জানান, এক বছর ধরে সে কোমাতে আছে। মস্তিষ্কের কোষগুলো সব শুকিয়ে গেছে! এই দেশে আনার পর এক সপ্তাহও তাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়নি।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণ ওটো। সেখানকার এক হোটেল থেকে সরকারি প্রচারমূলক পোস্টার চুরির দায়ে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় পিয়ংইয়ং। দেড় বছর পর মানবিক কারণে তাকে ছেড়ে দেয় পিয়ংইয়ং। জানা যায়, জেলে যাওয়ার পরপরই কোমায় চলে যান ওটো। পরিবারের দাবি, জেলে অমানবিক নির্যাতনের কারণেই কোমায় চলে যান তাদের ছেলে। আর উত্তর কোরিয়া জানায়, খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে তার এই অবস্থা হয়। জেলে তার কী চিকিৎসা হয়েছিল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। ওটোর মৃত্যুর পর ওয়ার্মবিয়ার পরিবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads