• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ইয়েমেনে শিশু যোদ্ধা নিয়োগে সুদানিদের প্রলোভন দেখিয়েছিল সৌদি!

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

ইয়েমেনে শিশু যোদ্ধা নিয়োগে সুদানিদের প্রলোভন দেখিয়েছিল সৌদি!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শিশু সন্তানদের পাঠাতে সুদানের দরিদ্র পরিবারগুলোকে সৌদি আরব প্রলোভন দেখিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশু যোদ্ধাদের নিয়োগ দিতে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছিল। এসব শিশুকে যুদ্ধক্ষেত্রেও সম্মুখ সারিতে রাখা হতো। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের দূর থেকে নির্দেশনা দিতেন। গত শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক  প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়। তবে ইয়েমেনে সুদানি শিশু যোদ্ধা নিয়োগের কথা অস্বীকার করেছে সৌদি জোট। এক বিবৃতিতে সুদানি শিশু যোদ্ধা নিয়োগের অভিযোগকে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর আলজাজিরা।

গত চার বছর ধরে ১৪ হাজার সুদানি সেনা ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। সুদানি যোদ্ধাদের প্রায় সবাই দরিদ্র এলাকা দারফুরের বাসিন্দা। সম্প্রতি ইয়েমেন থেকে ফিরে আসা পাঁচ সুদানি যোদ্ধার সাক্ষাৎকার নেয় নিউইয়র্ক টাইমস। তারা জানিয়েছে, ইয়েমেনে নিয়োজিত সুদানি সেনা ইউনিটের ২০-৪০ শতাংশই শিশু-কিশোর। নিয়োগ দেওয়ার সময় তাদের বেশির ভাগের বয়স ছিল ১৪ থেকে ১৭-এর মধ্যে। বেশিরভাগ শিশুকে নিজেদের বাবা-মা যুদ্ধে পাঠিয়েছে। সৌদির অর্থের প্রলোভনে পড়ে দরিদ্র পরিবারগুলো এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়। 

অর্থাভাবে থাকা অনেক সুদানি পরিবার একে সুযোগ হিসেবে দেখেছিল। তাই শিশু সন্তানদেরকে যুদ্ধে পাঠাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল তারা। অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের যেন ইয়েমেন যুদ্ধে পাঠানো হয় তা নিশ্চিত করতে সুদানি সেনা ইউনিটের কর্মকর্তাদেরকে ঘুষও দিয়েছে। হাজের শোমো আহমেদ নামে এক যোদ্ধা বলেন, পরিবারগুলো জানত তাদের ছেলেরা যুদ্ধে গেলেই মিলবে টাকা। পাল্টে যাবে তাদের জীবন।

শোমো ২০১৬ সালে ইয়েমেন যুদ্ধে যোগ দেন। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। ইয়েমেনে সৌদি ও আমিরাতি কমান্ডাররা তাদের ইউনিটগুলো তত্ত্বাবধান করত। কমান্ডাররা সবসময় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে তাদের নির্দেশনা দিতেন। মোহাম্মদ সুলেইমান আল ফাদিল নামের আরেক যোদ্ধা বলেন, তারা কখনো আমাদের সঙ্গে থেকে যুদ্ধ করেনি। 

ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। হাদি সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন। এরপর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্রদের নিয়ে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। সুদানও ওই জোটে যোগ দেয় এবং ইয়েমেনে তারা হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads