• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
নিষেধাজ্ঞা চাপালে ‘অন্য পথে’ হাঁটবে উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

নিষেধাজ্ঞা চাপালে ‘অন্য পথে’ হাঁটবে উত্তর কোরিয়া

যুক্তরাষ্ট্রকে কিমের হুঁশিয়ারি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০১৯

উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন বলেছেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটতে তার দেশ এখনো বদ্ধপরিকর। নতুন বছরের বার্ষিক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। কিন্তু পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। তার সাফ কথা, ওয়াশিংটন যদি পিয়ংইয়ংয়ের উপর একতরফা দাবির বোঝা চাপিয়ে যায়, তাহলে ‘কোনো নতুন পথে’ এগোতে হবে উত্তর কোরিয়াকে। তবে নতুন পথটা কী ধরনের হবে, সে সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেননি কিম।

তিরিশ মিনিটের বক্তৃতায় চেয়াম্যান জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের ‘দ্রুত গতিতে’ উন্নতি হতে পারে যদি মার্কিন প্রশাসন ‘আদান প্রদান’-এ ভরসা রাখে। এই সূত্রেই তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি ফের দেখা করতে চান। কিম বলেন, ‘আমি এমন একটা ফলাফলের দিকে এগোতে চাই যাকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বাগত জানানো হবে যুক্তরাষ্ট্র যেন আমাদের জনতার ধৈর্য দেখে ভুল ধারণার বশবর্তী না হয়। ওরা যদি একতরফা দাবি, নিষেধাজ্ঞা, চাপ তৈরির পথেই চলে, তাহলে আমাদের কাছে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই একমাত্র গুরুত্ব পাবে। আমাদের উপদ্বীপে শান্তি বজায় রাখতে নতুন পথে চলতে হবে।’

কিমের এই বক্তৃতার মূল শ্রোতা তার দেশের মানুষ। পিয়ংইয়ং আগামী এক বছরে কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেবে, তা নিয়ে প্রতি বছরে বক্তব্য রাখেন এই নেতা। থাকে অসংখ্য নিষেধের নির্দেশ। কিন্তু এবার তার বক্তৃতার ধরন অতীতের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। বাবা আর দাদুর ছবি পাশে নিয়ে ‘অন্য রকম’ কিমকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে বলে মনে করছে সিউলের সংবাদমাধ্যম।

সেখানে অনেকটাই জুড়ে ছিলেন ট্রাম্প আর তার দেশ। তাই কিম কী বলেন, সেদিকে নজর ছিল সবারই। সিঙ্গাপুরে গত বছর জুন মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক ও ইতিবাচক আলোচনার পরে দুই রাষ্ট্রনেতাই ফের বৈঠকে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু পিয়ংইয়ং আর ওয়াশিংটনের প্রশাসনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনো চলছে এবং কিম-ট্রাম্পের সাক্ষাতে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ভাসা-ভাসা কথাবার্তা হয়েছিল বলেই বিশ্লেষকদের দাবি। তা সত্ত্বেও প্রতিবারের মতো কিমের মুখে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হুমকি ছিল না, উল্টো নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দায়বদ্ধতার কথাই শোনা গিয়েছে। ছিল প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরো মসৃণ করার বার্তাও।

সাংবাদিকদের মতে, কিম ২০১৮ সালকে ‘গতিময়’ বছর হিসেবে দেখেছেন। সেই গতি ২০১৯ সালেওেএ ধারা বজায় রাখতে চান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads