• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরই সেনা প্রত্যাহার : বোল্টন

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরই সেনা প্রত্যাহার : বোল্টন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ জানুয়ারি ২০১৯

মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া ছাড়বে বলে জানিয়েছেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। তুরস্ক সফরের আগে গত রোববার জেরুজালেমে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বোল্টন এ সফরে গেলেন। সিএনএনের খবর।

ইসরাইলের প্রধামন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের আগে গত রোববার ওই সংবাদ সম্মেলনে বোল্টন বলেন, আইএসকে পরাজিত করা এবং তাদের উত্থান যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিতের পরই সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। এ অঞ্চলে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্য মিত্রদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগে তুরস্ককে নিশ্চিত করতে হবে তারা কুর্দি বাহিনীর ওপর তারা কোনো ধরনের হামলা চালাবে না। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বাহিনী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে সিরিয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে শক্ত অবস্থানে আছে। যদিও গত ৪০ বছর ধরে তুরস্ক ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে এ কুর্দি জাতিগোষ্ঠীর ওপর। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হলে তুরস্কের এই দমননীতি ও আইএসের দাপট আবারো শুরু হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষত ট্রাম্পের মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান কুর্দি বাহিনীর ওপর শিগগিরই সেনা অভিযানের ঘোষণা দিলে এ আশঙ্কা আরো পাকাপোক্ত হয়।

এদিকে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর দেশটির পূর্বাঞ্চলে বোমা হামলা জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস প্রভাবিত এলাকাগুলোয় এ অভিযান চালানো হচ্ছে। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সিরিয়া থেকে মার্কিন বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহারের ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটারে পোস্টে তিনি বলেন, আমরা সিরিয়ায় আইএসকে পরাজিত করেছি। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে শুধু আইএসকে হটানোর জন্যই তাদের সেখানে (সিরিয়া) রাখা হয়েছিল। তবে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের মধ্যেও ব্যাপক বিরোধ দেখা দেওয়ায় ও সিরিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে সঙ্কট প্রশ্ন সামনে চলে আসায় পরবর্তীতে ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আজ ঘোষণা দিয়ে কালই সেনা প্রত্যাহার শুরু হচ্ছে না সিরিয়ায়। পর্যায়ক্রমে দেশটি থেকে দুই হাজার সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি।

ইসরাইল ও তুরস্ক সফরে বোল্টনের সঙ্গে দেশটির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ প্রধান জোসেফ ডানফোর্ড, রাষ্ট্রদূত জেমস জেফরি, সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র গ্যারেট মারকুইস।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads