• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
রাহাফকে আশ্রয় দিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

রাহাফকে আশ্রয় দিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১০ জানুয়ারি ২০১৯

হত্যার হুমকির মুখে ব্যাঙ্ককে পালিয়ে যাওয়া সৌদি তরুণী রাহাফ আল কুনুনকে বৈধ শরণার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে তাকে আশ্রয় দিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল বুধবার ক্যানবেরায় জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এ কথা জানান। খবর বিবিসি।

অস্ট্রেলিয়ার হোম অ্যাফেয়ার্স বিভাগ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের এই আহ্বান বিবেচনা করবে। রাহাফের আশ্রয় প্রার্থনার অনুরোধ গৃহীত হতে পারে বলে দেশটির কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন। জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত ১৮ বছর বয়সী রাহাফের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে দেখছেন মানবাধিকার সংস্থাগুলো। রাহাফ বর্তমানে ব্যাঙ্ককে রয়েছেন।

জাতিসংঘের ঘোষণার পর অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, তাকে যদি শরণার্থী হিসেবে পাওয়া যায়; তাহলে আমরা একটি মানবিক ভিসা দেয়ার ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবো। তবে সরকারের তরফ থেকে এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বক্তব্য দেওয়া হবে না। এমনিতে কোন ব্যক্তি আর্জি জানালে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাকে শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে কোনো ক্ষেত্রে রাষ্ট্র অপারগ হলে বা অনাগ্রহী হলে  ইউএনএইচসিআরও কাউকে শরণার্থী ঘোষণা করতে পারে।

 

উল্লেখ্য, পরিবারের সঙ্গে কুয়েত ভ্রমণে থাকার সময় গত ৪ জানুয়ারি পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই তরুণী। কুয়েত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ব্যাংকক পৌঁছান। সেখান থেকে তার অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট ধরার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাংকক বিমানবন্দরের কর্মকর্তরা পাসপোর্ট জব্দ করে বলে দাবি রাহাফের। জোর করে তাকে কুয়েতে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। নিজেকে বাঁচাতে বিমানবন্দরের একটি হোটেলে অবস্থান নেন তিনি। এরপর গত রোববার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজের অবস্থার কথা বিশ্ববাসীকে জানান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুমুল আলোচনার মধ্যে থাই অভিবাসন পুলিশ তাকে ফেরত না পাঠিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয়। পরে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে ব্যাংকক বিমানবন্দর ছাড়েন রাহাফ। বাবা ও ভাই থাইল্যান্ডে আসলেও তাদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি এই সৌদি তরুণী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads