ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট ফোর্স- রেভুলশনারি গার্ডের সদস্যদের বহনকারী বাসে আত্মঘাতি বোমা হামলায় অন্তত ২৭ জন সেনা নিহত ও ১৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আইআরজিসি'র পদাতিক বাহিনীর কুদস ঘাঁটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে ইরানের গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিস্তান-বেলুচিস্তানে এই হামলা হয়।
হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জাইশ আল-আদল। গোষ্ঠীটি নিজেদেরকে আর্মি অব জাস্টিস হিসেবেও পরিচিতি দেয়।
হামলা সম্পর্কে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাশেমি জানান, আত্মঘাতী হামলার প্রতিশোধ নেবে ইরান। তিনি বলেন, ইরানের আত্মত্যাগী সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এই হামলায় নিহত শহীদদের রক্তের প্রতিশোধ নেবে।
এছাড়া ইসলামিক রেভুলেশন গার্ডসের কমান্ডার আলি ফাদাভি বলেন, এই হামলার শক্তিশালী জবাব দেয়া হবে। আমরা শুধু নিজেদের ভৌগোলিক এলাকাই সুরক্ষিত করবো না।
ইরানের শিয়া মুসলিম কর্তৃপক্ষ বলছেন, পাকিস্তানের নিরাপদ স্বর্গ থেকে বিদ্রোহীরা হামলা পরিচালনা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালাতে প্রতিবেশী দেশটিকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। এক আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরকভর্তি একটি যান বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদস্যদের বহন করে নিয়ে যাওয়া একটি বাসকে ধাক্কা দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে আরও তেরো সেনাসদস্য আহত হয়েছেন বলে ফার্স জানিয়েছে।
একটি ভিডিওতে পাকিস্তান সীমান্তের এই অস্থিতিশীল রাজ্যটিতে হামলার স্থলে রক্ত ও বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এই সীমান্ত দিয়েই ইরানের বিদ্রোহী ও মাদকপাচারকারীরা তাদের কার্যক্রম চালায়। হামলায় বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বাসটি মুচড়ে যাওয়া ধাতব পদার্থে পরিণত হয়।
সুন্নি মুসলিম বিদ্রোহীদের ইরানের বড় ধরনের হুমকি ভাবা না হলেও এ হামলাকে তাদের নিরাপত্তার জন্য বড় আঘাত হিসেবে বলা হচ্ছে।