পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের প্রতিরোধের আশঙ্কায় যেকোনো চরম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, ভারতীয় চাপের মুখে পাকিস্তান যাতে কোনোভাবেই মাথা না-নোয়ায়, ইমরান খানের সরকারকে সেই কথাই বলেছে জইশ-ই-মুহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মির প্রশাসন এবং বেলুচিস্তানে মোতায়েন পাক সামরিক বাহিনীর কাছে প্রেরিত দু’টি নির্দেশনামার বরাত দিয়ে এ খবর দেওয়া হয়েছে। এতে ভারতের প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশটি যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে ধারণা করা হয়েছে।
সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়, কোয়েটা ক্যান্টনমেন্টের হেডকোয়াটার্স কোয়েটা লজিস্টিক এরিয়া বা এইচকিউএলএ থেকে সেখানকার জিলানি হাসপাতালে একটি নির্দেশনামা পাঠানো হয়েছে। চলতি মাসের ২০ তারিখ পাঠানো নির্দেশনামায় ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের সময় কি ভাবে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে সে বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সিন্ধু এবং পাঞ্জাবের সিভিল বা মিলিটারি হাসপাতালে আহত সেনাদের নিয়ে আসা হতে পারে। এজন্য ২৫ শতাংশ বেড খালি করে তা সংরক্ষিত রাখা ও জরুরি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে পাক নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি বরাবর অন্তত ছয়টি এলাকার প্রশাসনকে সম্ভাব্য ভারতীয় হামলার ব্যাপারে হুঁশিয়ার থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদ সরকারের এ নির্দেশ পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের প্রশাসনের কাছে বৃহস্পতিবার পাঠানো হয়েছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামার হামলায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের অন্তত ৪৪ সেনা নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাক-ভারত সম্পর্কে নতুন করে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
