• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মৃত তিমির পেটে ৪০ কেজি প্লাস্টিক

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

মৃত তিমির পেটে ৪০ কেজি প্লাস্টিক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৯ মার্চ ২০১৯

ফিলিপাইনের সমুদ্রতটে একটি মৃত তিমি মাছ ভেসে এসেছে যেটির পাকস্থলীতে ৪০ কেজি পরিমাণ প্লাস্টিকের ব্যাগ পাওয়া গেছে। ডি’বোন কালেক্টর মিউজিয়ামের কর্মচারীরা মার্চের শুরুতে তিমি মাছটি উদ্ধার করে দাভাও সিটির পূর্বাঞ্চল থেকে।

মিউজিয়ামটি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছে, ‘একটি তিমির ভেতরে এত বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক’ তারা আগে কখনো দেখেনি।

তিমিটির পাকস্থলীতে ১৬টি চালের বস্তা এবং বিপুল পরিমাণ ‘শপিং ব্যাগ’ ছিল বলে উল্লেখ করে তারা।

তিমিটির পাকস্থলীতে কী কী জিনিস পাওয়া গেছে তার বিস্তারিত তালিকা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশ করবে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ।

ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ থেকেই সমুদ্রে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য নিক্ষেপ করা হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রচারণা চালানো প্রতিষ্ঠান ওশান কনসার্ভেন্সি ও ম্যাককিনসে সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাঁচটি এশীয় দেশ চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড প্রতি বছর সমুদ্রে যে পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হয় তার ৬০ শতাংশের জন্য দায়ী।

গত বছর থাইল্যান্ডে একটি তিমির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, যেটি ৮০ কেজি পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যাগ গিলে ফেলায় মারা যায়। এরপর নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় একটি তিমি মাছের পাকস্থলীতে ১১৫টি কাপ, ৪টি প্লাস্টিকের বোতল, ২৫টি প্লাস্টিকের ব্যাগ ও দুই জোড়া প্লাস্টিকের চপ্পল পাওয়া যায়।

বিশ্বজুড়েই সমুদ্রে প্লাস্টিকের আবর্জনা বেড়েছে। ২০১৫ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী বছরে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে প্রায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন প্লাস্টিক। ওই বছরই যুক্তরাজ্য সরকারের এক গবেষণায় উঠে আসে যে, আগামী দশকের মধ্যে সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ তিনগুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads