ভাগ্যের চাকা সচল করতে মালয়েশিয়া এসে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে মারাত্মকভাবে আহত টাঙ্গাইলের গিয়াসউদ্দিন কে দেশে ফেরা ও চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে মালয়েশিয়াস্থ জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ দূতাবাস।
এর আগে মালয়েশিয়ায় একটি কনস্ট্রাকশন সাইডে কাজ করার সময় গিয়াসউদ্দিন দূর্ঘটনায় হাত, পা ও মেরুদন্ড ভেঙ্গে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ফুটপাতে মানবেতর জীবনযাপন করার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এর পর সাহায্য এগিয়ে আসে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন, দূতাবাস সহ প্রবাসীরা ।
আহত গিয়াসউদ্দিন প্রতিবেদক কে জামান, পরিবারের অভাব দূর করতে দেড় বছর আগে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসেন। তার স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। এখানে কনস্ট্রাকশন সাইডে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। কিছু দিন আগে নির্মানাধীন বহুতল ভবন থেকে পড়ে হাত, পা ও মেরুদণ্ড ভেঙ্গে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ৫০ হাজার রিংগিত বিল বকেয়া হয়ে যায় কিন্তু গিয়াসউদ্দিনের হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে এই মোটা অংকের বিল পরিশোধ করা সম্ভব না হওয়ায় আংশিক বিল পরিশোধ করার পর হাসপাতাল থেকে বের করে রাস্তার ফুটপাতে ফেলে রেখে যায়। পরে প্রবাসীরা তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন সহ কমিউনিটির নেতা কর্মীদের জানানো হলে তার সু চিকিৎসা, দ্রুত দেশে ফেরার ব্যবস্থা সহ দেশে যাওয়ার পর পূর্নবাসনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির জানালেন, গিয়াসউদ্দিনের চিকিৎসা ও পূর্নবাসনে দূতাবাস, জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন সহ সমস্ত প্রবাসীরা এগিয়ে আসেন। হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা সাথে নিয়ে তাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠাতে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট করা হয়েছে। বর্তমানে গিয়াসউদ্দিন আমাদের হেফাজতে রয়েছে তাকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়া জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মোঃ মনির দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে মালয়েশিয়া সফরত জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর গিয়াসউদ্দিন কে দেখতে আসেন তারপর তাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য ৬০০ ইউএস ডলার আর্থিক সহায়তা করেন পরবর্তী তাকে আরো সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।
কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব জনাব হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আমরা খবর পেয়ে কমিউনিটির নেতাদের সাথে নিয়ে গিয়াসউদ্দিনের চিকিৎসা, দেশে ফেরা সহ দেশে যাওয়ার পর তার পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করছি । আশা করি কয়েক দিনের মধ্যেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশে যেতে পারবে এবং সে যেখানে যেখানে সহযোগিতা পাচ্ছে সব খানেই হাইকমিশন পাশে আছে।
