• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
শ্রীলঙ্কায় হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

শ্রীলঙ্কায় হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ এপ্রিল ২০১৯

শ্রীলংকায় আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলায় ৩২১ জন নিহত হওয়ার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ (আইএস)। দেশটির সরকার যখন স্থানীয় মুসলিম মৌলবাদী একটি সংগঠনকে দায়ী করছে ঠিক এর পরেই  এর দায় স্বীকার করে আইএস।

চরমপন্থী গোষ্ঠীটি মঙ্গলবার তাদের আমাক সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে দায় স্বীকার করে।

তাদের দাবি, রবিবারের হামলাকারীরা ছিলেন ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধা। তবে হামলাকারীরা যে জঙ্গি গোষ্ঠীটির প্রতি অনুগত সে বিষয়ে তারা কোনো ছবি বা ভিডিও দেয়নি।

এক সময় ইরাক ও সিরিয়ায় দখল করা ভূমির সব হারানো আইএস আগেও অনেক হামলার অসমর্থিত দায় স্বীকার করেছে।

শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা হামলার জন্য স্থানীয় একটি ইসলামি চরমপন্থী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে।

শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ‘প্রতিশোধ’ ছিল ইস্টার সানডের বোমা হামলা। রুয়ান বিজেবর্ধনে মঙ্গলবার সংসদে এ মন্তব্য করেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ এবং তথ্যটি কোথা থেকে পাওয়া গেছে তার ব্যাখ্যা দেননি।

তিনি বলেন, গির্জা, বিলাসবহুল হোটেল ও অন্যান্য এলাকায় চালানো সমন্বিত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২১ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই সাথে আহত হয়েছেন ৫০০।

এখন পর্যন্ত হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৪০ জনকে আটক করেছে। নাশকতার তদন্তে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হলো শ্রীলঙ্কার পুলিশ এবং সেনাকে। এর ফলে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে তারা। তামিল গৃহযুদ্ধের সময়ও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কার সেনাকে। 

গ্রেফতারের মধ্যে একজন সিরিয়ার নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলংকা পুলিশের মুখপাত্র।

মঙ্গলবার থেকে হামলার ঘটনায় নিহতদের গণকবর দেওয়া শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এদিন সকাল সাড়ে ৮টার সময় সারা দেশজুড়ে নীরবতা পালনের পরপরই শুরু হয় গণকবর।

রোববার ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকার তিনটি গির্জা, তিনটি হোটেলসহ অন্তত আটটি স্থানে পরপর বোমা হামলা হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি নাগরিক। আহত পাঁচ শতাধিক।

ওই দিন ছিল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads