চীনের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি বেইজিং বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিং গ্যাং।
পরে চীনের সামরিক বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়। এর আগে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দিকে চীন সরকারের দেওয়া একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটযোগে বেইজিংয়ের উদ্দেশে দালিয়ান ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। অভ্যর্থনার পর প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা দিয়ে দিয়াওয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে নেওয়া হয়। বেইজিং সফরকালে তিনি এখানেই অবস্থান করবেন।
বিকালে বেইজিংয়ের লিজেনদালি হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে হিরোস মেমোরিয়ালে বীরদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিনি। পরে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানেই চীনা প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক নৈশভোজেও যোগ দেবেন তিনি।
একই দিন বিকালে সিসিপিআইটিতে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বাণিজ্যবিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। কাল সকালে চীনা গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যানগোল ইনিস্টিটিউশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন। পরে বিভিন্ন চীনা কোম্পানির সিইও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এনপিসি চেয়ারম্যান লি ঝাংশুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিকালে দিয়াওয়ুতাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং সন্ধ্যায় একই জায়গায় চীনা প্রেসিডেন্টের দেওয়া এক ভোজসভায় যোগ দেবেন।
৬ জুলাই স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে চীনের রাজধানী বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। ফ্লাইটটি একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা। উল্লেখ্য, পাঁচ দিনের সফরে গত সোমবার চীন যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
