দক্ষিণ আফ্রিকার বলুম পয়েন্টে কৃষাঙ্গ আফ্রিান ও ভারতীয় সহকর্মীদের বিষ প্রয়োগে নিহত বাংলাদেশী মোঃ এয়াছিন আরাফাত (৪৬) লাশ দাফন করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে নামাজের জায়নাজা শেষে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিন রাজারাপুর গ্রামের হাজী মোজাফ্ফর আলী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
এরআগে ইয়াছিনের লাশ সোমবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহাজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে পৌছলে লাশ গ্রহণ করেন ছোট ভাই নুরুল আলম রানা ও জেঠাত ভাই আনোয়ার হোসেন।
এরপর লাশ বেলা ১১টার দিকে গ্রামের বাড়িতে পৌছলে পরিবারের সদস্যদের মাঝে শুরু হয় শোকের মাতম। বাড়ির লোকজন সহ আলপাশ্বের লোকজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস। দেখা দেয় হৃদবিদায়ক দৃশ্য ।
নিহত এয়াছিন আরাফাত নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের হাজী মোজাফ্ফর আলীর বাড়ির ফজলুল হকের ছেলে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার বড় ইয়াছিন।
স্কুল শিক্ষক চাচা মাইদুল হক, মামা ওবায়দুল হক ও জেঠাত ভাই একরামুল হক জানায়, জীবিকার সন্ধানে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটাতে ২০০৫ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় পাড়ি জমান ইয়াছিন আরাফাত। সেখানে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় সে স্থানীয় বিএসএফ নামীয় কোম্পানীর মার্কেটিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ১ জুলাই রাতে তার সহকর্মী স্থানীয় আফ্রিকান ও ভারতীয় কয়েকজন কোমল পানীয়ের সঙ্গে বিষ খাইয়ে ইয়াছিনকে হত্যার করে কোম্পানীর মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তারা বাংলাদেশ সরকারের নিকট ইয়াছিন হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটর করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।