• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
হন্ডুরাসে ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু ৫৪, আক্রান্ত ২৮ হাজার

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

হন্ডুরাসে ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যু ৫৪, আক্রান্ত ২৮ হাজার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ জুলাই ২০১৯

হন্ডুরাসে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। দেশটির লা পাজ শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালগুলোতেও রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না। দেশটিতে ইতোমধ্যে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২৮ হাজার মানুষ। শিশুসহ মারা গেছেন অন্তত ৫৪ জন। 

দেশটির সরকারি ৩২টি হাসপাতালের ২৬টিতেই উপচে পড়ছে ডেঙ্গু রোগীদের ভিড়। হাসপাতালগুলোর করিডরেও সেবা দেওয়া হচ্ছে অনেককে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

স্থানীয় এক হাসপাতালের কর্মকর্তা মার্কি অ্যান্টনিও রোডস জানান, আমাদের এখানে আর জায়গা নেই। পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। শুধু জরুরি অবস্থার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। খুব প্রয়োজন না হলে অপারেশনও করা হচ্ছে না। আমি ২০ বছর ধরে একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করছি, এর আগে কখনো এমন ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেখিনি।

এ অবস্থায় কর্মকর্তারা স্কুল বন্ধ করে সেগুলোকে সাময়িক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রূপান্তরিত করার কথা ভাবছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান অরলান্ডো হার্নান্দেজ দেশের ২৯৮ জন পৌরসভার মেয়রকে সোমবার রাজধানীতে ডেকেছেন। এই সংকট দূর করতে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

হার্নান্দেজ বলেন, বর্তমানে এই মহামারী থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই উপায়-তা হচ্ছে, মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে দেওয়া। দেশের প্রত্যেককে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। নিজ নিজ বাড়ি, কর্মস্থল ও সব সরকারি স্থাপনা থেকে দূর করতে হবে মশা। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে একটি বিশেষ সরকারি অভিযানের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

দেশটিতে তিন মাসব্যাপী বর্ষাকাল শুরু হতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে দেশটিতে। আগামী দিনগুলোতে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে মশাদের প্রজননের জন্য উপযুক্ত জায়গার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এতে বাড়বে মশার সংখ্যা। পাশাপাশি বাড়বে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads