• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
 ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের জনগণ মেনে নেবে না

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

এবার পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি

৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের জনগণ মেনে নেবে না

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৬ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যুতে গতকাল সোমবার ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করায় জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা তো হারালই, পাশাপাশি বাড়তি যে সুবিধা এত দিন পেয়ে আসছিল, তা থেকেও বঞ্চিত হলো কাশ্মীরের মানুষ। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের এ পদক্ষেপ ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফা’।

পাকিস্তান জানিয়েছে, দিল্লি একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর আন্তর্জাতিকভাবে ‘বিতর্কিত’ ভূখণ্ড। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবেও তা উল্লেখ রয়েছে। কাশ্মীরের মানুষ ও পাকিস্তান কোনোভাবে ভারতের সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তান জানিয়েছে, সব রকমভাবে ভারতের এ পদক্ষেপের মোকাবিলা করবে তারা।

সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত সরকার ‘জাতিসংঘের নির্ধারিত নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে’ বলে দাবি করেন ইমরান খান।

ইমরান খান বলেন, ভারতের এমন পদক্ষেপে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো খারাপ হবে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, জাতিসংঘ, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি), মানবাধিকার সংগঠন এবং বন্ধু রাষ্ট্রগুলো এ বিষয়ে চুপ করে থাকবে না।

কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ভারত জানিয়েছিল, কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার মোকাবিলা করতে চায় নয়াদিল্লি।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ৩৭০ ধারা বিলোপে দেশে ও দেশের বাইরে ধাক্কা সামলাতে হতে পারে মোদি সরকারকে। ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জম্মু-কাশ্মীরের সব বিরোধী দল একজোট হয়েছে। অন্যদিকে কাশ্মীরের সিংহভাগ জনগণও তাঁদের এ বিশেষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে চান না। এর ফলে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনীতিবিদরাও।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads