কাশ্মীর সীমান্তে গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে গোলাগুলিতে দুই দেশের আট সেনাসদস্যসহ দশজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন ভারতীয় সেনা, তিন পাকিস্তানি সেনা ও দুই বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। তিন সেনা নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্সের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইট বার্তায় জানান, লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) গুলিবর্ষণ বাড়িয়েছে ভারতীয় সৈন্যরা। তিনি টুইটে লেখেন, থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে।
সংবাদ সংস্থাটিতে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এই বছর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ এটি।
আরো জানান, ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে এই গোলাগুলি ও নিহতের বিষয়টি সামনে এলো।
গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মাধ্যমে মোদি সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ এবং কাশ্মীর ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে।
ভারতের এসব পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো-ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করা, দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা; পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা; বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া এবং ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানো এবং ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা।
এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদের ফেরত পাঠানো হবে।
