• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ভারতের ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পেলেন সৈয়দ আবুল হোসেন

গত বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তীর কাছ থেকে ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ গ্রহণ করেন সৈয়দ আবুল হোসেন 

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

ভারতের ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পেলেন সৈয়দ আবুল হোসেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ভারতের মর্যাদাপূর্ণ ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার-২০১৯’ পেয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। সম্মাননা গ্রহণ করে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, এ পুরস্কার শিক্ষা প্রসার এবং সমাজকে সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে নিতে তাকে আরো উৎসাহিত করবে।

বিদ্যাসাগর তার স্বপ্নের পুরুষ এবং আদর্শিক মানুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকীতে তার নামে প্রবর্তিত ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ পাওয়া আমার জন্য গর্বের।

বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান ও নারী শিক্ষা প্রসারে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সৈয়দ আবুল হোসেনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিদ্যাসাগর পুরস্কার তাদেরই দেওয়া হয় যারা শিক্ষা প্রসারে কাজ করেছেন এবং যারা নিজ দেশের সেরাটা অর্জনের চেষ্টা করছেন।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তী সৈয়দ আবুল হোসেনের কাছে এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর রঞ্জন চক্রবর্তী সাইটেশনে বলেন, সৈয়দ আবুল হোসেনের একক প্রচেষ্টায় যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদানের জন্য সৈয়দ আবুল হোসেনকে বাংলাদেশের বিদ্যাসাগর হিসেবে অভিহিত করেন। সৈয়দ আবুল হোসেন এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে ৬টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর মধ্যে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। অসংখ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তুলেছেন। প্রায় ১৫০টির অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ায় সহায়তা করেছেন। তার  এলাকা বর্তমানে বাংলাদেশের ‘শিক্ষাঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত।

এ অনুষ্ঠানে ড. হরিপদ মণ্ডল, ড. অমিয় কুমার সামন্ত, প্রফেসর চিত্তাব্রত পালিত, ভারতত্ত্ববিদ প্রফেসর নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী এবং ড. দিলীপ কুমার সিনহাকেও তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিদ্যাসাগর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

এ সময় প্রখ্যাত লেখক ড. সুবোধ সরকার, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যাসাগর পুরস্কার দেওয়ায় আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন আমার প্রেরণা। আমি নিজস্ব অর্থায়নে আমার এলাকার প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছি। আমার এলাকা বর্তমানে বাংলাদেশের ‘শিক্ষা উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিত।’

বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধান শত্রু দারিদ্র্য ও সাম্প্রদায়িকতা। উভয় দেশের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা এ অঞ্চলের দারিদ্র্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প দূর করতে পারি। তিনি শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত ‘বিদ্যাসাগর রচনাবলি’ দ্বিতীয় খণ্ড এবং সৈয়দ আবুল হোসেনের লেখা ‘বিদ্যাসাগর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। আরো উল্লেখ্য, শিক্ষা বিস্তার ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ইতঃপূর্বে সৈয়দ আবুল হোসেন ২২টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। একজন লেখক হিসেবে তার ২০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads