মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনাটি বেআইনি।
এ ঘটনাকে সৌদি আরবের নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করে তিনি মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যের তাগিদ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত ৩ জানুয়ারি ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার চরম প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এ নিয়ে ওয়াশিংটন-তেহরান উত্তেজনার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার মাহাথির বলেন, এখনই মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সঠিক সময়। আমরা এখন আর নিরাপদ নই। কেউ যদি কাউকে অবজ্ঞা করে বা কারো পছন্দমতো কথা না বলে তাহলে অন্য দেশ থেকে ওই ব্যক্তির পক্ষে ড্রোন পাঠানো এবং সম্ভবত আমার ওপর গুলি চালানোও ঠিক আছে।
সোলাইমানির গুপ্তহত্যা কেবল রাষ্ট্রীয় আইনের লঙ্ঘন নয়, এটি বৈশ্বিক আইনেরও পরিপন্থি। অন্য দেশের সীমানায় ঢুকে এ হত্যা খাশোগির হত্যার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এটি সে রকমই একটি অপরাধ, যখন একটি দেশ নিজেই সিদ্ধান্ত নেয় অন্য দেশের নেতাদের হত্যার। জামাল খাশোগি ও সোলাইমানি হত্যা-দুই ঘটনাই অনৈতিক, আইনবিরোধী। ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে বলেন, এ ক্ষমতাবান ভদ্রলোকের সোলাইমানি হত্যার সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি করতে পারে। প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনে নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তানবুল দূতাবাসে হত্যা করে সৌদি এজেন্টরা।
মাহাথির জানান, বিশ্ব দরবারে আমি সত্য প্রকাশ অব্যাহত রাখব। কে ক্ষমতাধর আর কে দুর্বল তা নিয়ে আমি ভীত নই। কোনো কিছু সঠিক না হলে আমি তা-ও বলি। আমার সত্য প্রকাশের অধিকার আছে। মালয়েশিয়ায় প্রায় ১০ হাজার ইরানি বসবাস করে। ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেন মাহাথির। গত মাসে মালয়েশিয়ায় আয়োজিত মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের এক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।