• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ফের স্বপ্ন নিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা জেসিন্ডার

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

ফের স্বপ্ন নিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা জেসিন্ডার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ জানুয়ারি ২০২০

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার আশা নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন তিনি। বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় এই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী পরীক্ষায় দেশের মানুষের সমর্থন পাবেন কিনা তা জানা যাবে প্রায় সাত মাস পর।

২০১৭ সালে জেসিন্ডা আর্ডেন নেতৃত্বাধীন দেশটির মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টি নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতায় আসে। দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো ক্ষমতায় আসতে চায় তার দল।

গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে কিউই এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি দেশের স্থিতিশীলতা, শক্তিশালী অর্থনীতি ও অগ্রগতির ধারা বজায় রাখার স্বার্থে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের প্রতি আমার নেতৃত্ব, বর্তমান সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। নিউজিল্যান্ড যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তা দীর্ঘমেয়াদে সমাধানের জন্য এই সমর্থন দরকার।

ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ও দেশ বদলে দেয়ার ইতিবাচক বার্তা দিয়ে ২০১৭ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় চমক দেখিয়ে ক্ষমতায় আসেন জেসিন্ডা আর্ডেন। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈচিত্রতা ও নারী অধিকারের বিষয়ে ইতিবাচক মতাদর্শের জন্য তখন থেকে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে মা হয়েছেন তিনি। গত বছর ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় দেশটিতে বসবাসরত সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হন তিনি। মসজিদে হামলার এই ঘটনার পর দেশটির অস্ত্র আইন কঠোর করেন জেসিন্ডা।

তবে এবারের নির্বাচনে জেসিন্ডা নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির ক্ষমতায় আসার পথ কঠিন হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দেশটির অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক জেনিফায় কার্টিন বলেন, আর্ডেনের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে তার ক্ষমতায় আসাটা কঠিন হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যে ধরনের নেতিবাচক ও ভুল তথ্য ছড়ানো শুরু হয়েছে তাতে এ ধরনের কোনো নিশ্চয়তা এবার নিউজিল্যান্ডে দেওয়া যায় না। এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা কেমন হবে সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads