• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
এপ্রিলে করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ হতে পারে

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

এপ্রিলে করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ হতে পারে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আগামী এপ্রিলের মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হতে পারে বলে মনে করছেন চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন তারা। জানুয়ারির পর থেকে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সবচেয়ে কমসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন মঙ্গলবার; যেটাকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। খবর এবিসি ও সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

করোনায় চীনে মঙ্গলবার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ১১৩ জন। এছাড়া আক্রান্ত হয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭৪০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তাদের প্রাত্যহিক রিপোর্টে জানায়, মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত ৭৪৪ রোগী হাসপতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪১৭ জনই হুবেই প্রদেশের।

চীনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ফুরিয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখতে পেলেও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এর বিস্তারের ব্যাপারে এখনো শঙ্কিত। মঙ্গলবার চীনের প্রাদুর্ভাব বিষয়ক শীর্ষ মেডিকেল উপদেষ্টা চিকিৎসক ঝং নাশান বলেন, কয়েকটি প্রদেশে নতুন করে আক্রান্ত কমে এসেছে এবং চলতি মাসে এ মহামারিটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছেন তিনি। তবে আশার বাণীও শুনিয়েছেন তিনি। বলেন, আশা করছি এ প্রাদুর্ভাব অথবা এ ঘটনা আগামী এপ্রিলের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানালেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সনাক্তকৃত নতুন ভাইরাস বিশ্বের জন্য সন্ত্রাসবাদের চেয়েও ভয়াবহ হুমকি হয়ে  দেখা দিতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (হু) প্রধান টেড্রোস অ্যাধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, বিশ্বকে অবশ্যই জাগ্রত হতে হবে এবং এ ভাইরাসকে এক নম্বর শত্রু হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। চীনের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কমপক্ষে আরো ১৮ মাস সময় লাগতে পারে।

করোনাকে সন্ত্রাসী হিসেবে তুলনা করে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের মন্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলে হয়েছে, এটি এমন এক ধরনের লড়াই যেখানে গানপাউডার ব্যবহারের সুযোগ নেই। তবে অবশ্যই জিততে হবে। এ মহামারী চীনের সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং সক্ষমতার বড় পরীক্ষা। করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের জেগে ওঠার ডাক।

এদিকে হু সুইজারল্যান্ডে এক বৈঠকে চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া এ ভাইরাসের নামকরণ করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এর নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড-১৯ (ঈড়ারফ-১৯) নামে। করোনার প্রথম দুটি অক্ষর সিও (ঈঙ), ভাইরাসের প্রথম দুই অক্ষর ভিআই (ঠও), ডিজিজের প্রথম অক্ষর ডি (উ) এবং ২০১৯ সালে এ ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ায় ১৯ যোগ করে কোভিড-১৯ নামকরণ করা হয়েছে।

চীনে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। এর মধ্যে মঙ্গলবার আক্রান্ত হওয়া ২ হাজার ১৫ জনও রয়েছেন; যা ৩০ জানুয়ারির পর একদিনে সর্বনিম্ন আক্রান্ত। চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীতে। ৩ হাজার ৭০০ যাত্রী নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এ প্রমোদতরিতে বুধবার পর্যন্ত ১৭৫ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রায় ২৫টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে। আর চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এ পর্যন্ত ফিলিপাইন ও হংকংয়ে দুই চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads