• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
চীনা ফ্লাইটে যাত্রী কম

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

চীনা ফ্লাইটে যাত্রী কম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ-চীন রুটে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে যাত্রী। এয়ারলাইনসগুলো এরই মধ্যে ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে এনেছে। এর পরও যাত্রী কম হওয়ার এ রুটে ফ্লাইট চালানো নিয়েই এখন সংশয়ে রয়েছে এয়ারলাইনসগুলো।

বাংলাদেশে এখনো কারো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু থেকেই নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ থেকে চীনে মোট চারটি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করে। এদের মধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস অন্যতম। এছাড়া ড্রাগন এয়ার (ক্যাথে প্যাসিফিক) হংকং হয়ে চীনের বেশ কয়েকটি শহরে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশ থেকে গুয়াংঝুতে সরাসরি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফটি সপ্তাহে সাত দিন যায়। এতে বিজনেস ক্লাসের ১২টিসহ মোট ১৭৪টি আসন রয়েছে। ২১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা থেকে গুয়াংঝু যাওয়ার ফ্লাইটটির গড় যাত্রী ছিল ৪০। সেখান থেকে ঢাকা ফিরেছেন গড়ে ১১৮ জন যাত্রী। বাংলাদেশ থেকে চীনের কুনমিংয়ে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করত চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস। এ রুটে সপ্তাহে সাত দিন ফ্লাইট পরিচালনা করলেও বর্তমানে তা কমিয়ে তিন দিন করেছে। শনিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর পরও তাদের যাত্রী সংখ্যা কম।

চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের স্টেশন সুপারভাইজার হানিফ বলেন, যাত্রী সংকটে ফ্লাইট সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে এ রুটে গড়ে একশরও কম যাত্রী আসা-যাওয়া করছেন। এ বিষয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীন রুটে যাত্রী অনেক কমেছে। তবে বাংলাদেশি অনেকেই এখনো দেশে ফিরছেন। তাদের স্বার্থে আগের মতো সপ্তাহে সাত দিনই ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত রাখবে ইউএস-বাংলা।

চীনের গুয়াংঝুতে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস। যাত্রী সংকটের কারণে সপ্তাহের সাত দিন থেকে কমিয়ে শুধু সোমবার, বুধবার, শুক্রবার ও রোববার ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলে জানায় তারা। প্রতিষ্ঠানটি এ রুটে আগে এয়ারবাস এ-৩৩০ মডেলের এয়ারক্রাফট চালাত। এতে ২৮০টি আসন ছিল। ফ্লাইট সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি বিমানের আকার ছোট করেছে তারা। বর্তমানে এ রুটে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট চলছে। এর আসনসংখ্যা ১৭৪। তবু যাত্রী পাচ্ছে না । 

এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চীন থেকে আসা যাত্রী-পাইলট ও ক্রুদের বোর্ডিং ব্রিজ দিয়ে না এনে বিকল্প বিশেষ পথ থেকে ইমিগ্রেশন করিয়ে বিমানবন্দরে আনা হচ্ছে। প্রতিটি ফ্লাইটের পাইলট-কেবিন ক্রুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রু জানান, চীনা ফ্লাইট থেকে ফিরে আসার সময় আমাদের গায়ে যেসব জামাকাপড় ছিল সেগুলো এয়ারপোর্টেই রেখে যেতে হয়েছে। কাপড় বদলে এয়ারপোর্ট ছাড়তে হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার এ এইচ এম তৌহিদ-আল-আহসান বলেন, চীন থেকে আসা যাত্রী, পাইলট-ক্রু সবাইকে পৃথক গেট দিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকানো হচ্ছে। সবাইকেই একই পন্থায় স্ক্রিনিং ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। চীনের রুটের পাশাপাশি করোনার প্রভাব পড়েছে এশিয়ার অন্যান্য দেশের ফ্লাইটেও। ট্যুর অপারেটরগুলো বলছে, গত দুই মাসে দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটনকেন্দ্রিক দেশগুলোতে উদ্বেগজনক হারে যাত্রী কমেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর একই সময়ে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোতে যাত্রীদের আসা-যাওয়া কমেছে ৭০ ভাগ।

উল্লেখ্য, জানুয়ারির শুরুতে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভাইরাস ইতোমধ্যে পাড়ি দিয়েছে ইউরোপ-আমেরিকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads