• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কোভিড-১৯ টিকা কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নয়: ডব্লিউএইচও

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

কোভিড-১৯ টিকা কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নয়: ডব্লিউএইচও

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

কোভিড-১৯ টিকা কোনো ‘জাদুর কাঠি’ নয় যে এটি দীর্ঘ এক বছর ধরে চলা মহামারির অবসান ঘটিয়ে দেবে। এমনটাই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক অফিস।

কোভিড-১৯ টিকা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আরও বেশি নজরদারি বাড়ানোর জন্যও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচএ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক তাকেশি কাসাই এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আপনি যেই হোন না কেন, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, যতক্ষণ এ ভাইরাস পৃথিবীর কোথাও না কোথাও ঘুরে বেড়াচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সবাই ঝুঁকিতে আছি। আমাদের অবশ্যই সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।’

মহামারি উদ্ভূত উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ৪০ বছরের কম বয়সী তরুণ এবং সামাজিকভাবে সক্রিয়দের নিজের এবং চারপাশের প্রত্যেকের সংক্রমণ এড়াতে যতটা সম্ভব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাসাই বলেলেন, ‘আপনি নিজে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসরণ করে আপনার সমাজের লোকদের জীবন রক্ষা এবং ২০২১ সালের মধ্যে আপনার সমাজের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে সরাসরি অবদান রাখতে পারেন।

আমি আপনাদের তাদের সম্পর্কে চিন্তা করার আহ্বান জানাচ্ছি যারা কোভিড-১৯-এর  উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। আপনি যদি ভাইরাসটি বয়ে নিয়ে আসনে তবে আপনার অজান্তে এটি আপনার বাবা-মা বা দাদা-দাদি, আপনার প্রতিবেশী বা বন্ধুকে এক কঠিন পরিস্থিতিতে নিয়ে যোতে পারে।’

তিনি তরুণদের বলেন, আপনারা স্বাস্থ্য কর্মীদের কথা চিন্তা করুন যারা প্রায় এক বছর ধরে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় যাদের মধ্যে সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণগুলো শনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের নজরদারিতে আনতে অতিরিক্ত ব্যবস্থা ব্যবহার করার জন্য এ অঞ্চলের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান কাসাই।

তারই কথার প্রতিধ্বনি করে ডব্লিউএইচও আঞ্চলিক জরুরি পরিচালক বাবাতুন্দে ওলোকুরে বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির সমাধানে এর টিকা কোনো জাদুর কাঠি নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই। তবে, আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে, আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য ঘোষিত হস্তক্ষেপগুলো মেনে চলতে হবে।’

তিনি সরকারগুলোকে তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানোর জন্য কৌশল খুঁজে বের করার আহ্বান জানান যাতে তারা জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে থাকা হুমকি যথাযথভাবে মেকাবিলা করতে সহায়তা করতে পারে।

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং যার মধ্যে মারা গেছে ১৮ হাজার ৬৪১জন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads