• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বিপজ্জনক হয়ে উঠছে করোনার ব্রাজিল-ধরন

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

বিপজ্জনক হয়ে উঠছে করোনার ব্রাজিল-ধরন

  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০২১

করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে ভাইরাসের ব্রাজিলের ধরন পি১ বিশ্বব্যাপী নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন এই ধরন এমনভাবে রূপান্তরিত হচ্ছে যে এটি মানবদেহের অ্যান্টিবডি এড়িয়ে সংক্রমিত হতে পারে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ বাড়ার পেছনে এই ধরনটিকে দায়ী করা হচ্ছে। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

ব্রাজিলের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ফিয়োক্রুজ দেশটিতে ছড়াতে থাকা এ ধরনটি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাতে দেখা গেছে, ভাইরাসটির স্পর্শক অঞ্চলে রূপান্তরিত হচ্ছে। দেহকোষগুলোতে প্রবেশ ও সংক্রমিত করার জন্য এই স্পর্শকগুলোই ব্যবহার করে ভাইরাসটি। 

গবেষকরা বলেছেন, ভাইরাসের এ ধরনটি বিশ্বজুড়ে শঙ্কার কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। মিউটেশনের মাধ্যমে যে পরিবর্তনগুলো হচ্ছে তা ভাইরাসটিকে আরো টিকা প্রতিরোধী করে তুলতে পারে। টিকা ভাইরাসের স্পর্শক প্রোটিনগুলো অকার্যকর করার কাজটিই করে। ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের মানাউস শহরে কর্মকরত ফিওক্রুজের বিজ্ঞানী ও সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানের অন্যতম গবেষক ফেলিপে নাভেকা বলেন, অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া এড়াতে ভাইরাসটি ফাঁকি দেওয়ার আরেকটি কৌশল তৈরি করছে বলে আমাদের বিশ্বাস। ভাইরাসটির পরিবর্তনগুলো আরো আগ্রাসী। দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটির মিউটেশনে যেমনটি দেখা গিয়েছিল সেরকম হতে পারে বলে মনে হচ্ছে, যেটি কিছু টিকার কার্যকারিতা যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস করতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। তিনি বলেন, এটি সত্যিই খুব উদ্বেগজনক, কারণ ভাইরাসটি এর বিবর্তনের গতি বাড়িয়ে চলছে।

এদিকে দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। এক বছরের বেশি সময়ে করোনায় কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ থেকে বাদ যায়নি শিশুরাও। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৪। মারা গেছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ১৮০ জন। এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার শিশু রয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৭৭১ জন। বর্তমানে ব্রাজিলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৩। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৮ হাজার ৩১৮ জন।

সরকারি এক হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৩শ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুরুর দিকে কোনো উপসর্গ দেখা না দেওয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। আর এর ফলাফল হচ্ছে মৃত্যু। ফাতিমা মারিনহো নামের এক চিকিৎসক বলেন, আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে, শিশুদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কম। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা অবাক করার মতো। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ব্রাজিলে ৯ বছরের কম বয়সি ৮৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫১৮ জনই এক বছরের কম বয়স।ি কিন্তু মারিনহো বলছেন, সরকারি হিসাবে যা দেখানো হয়েছে দেশটিতে তার চেয়ে দ্বিগুণ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads