• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

অ্যাথলেটিকস

টিউমার নিয়ে অলিম্পিক পদক

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ এপ্রিল ২০১৮

২০১৬ রিও অলিম্পিকে রোয়িংয়ে রুপা জেতেন জো ডি টলেডো। অলিম্পিক পদক জিতে সময়টা খুব দারুণ কাটছিল এই ব্রিটিশ অ্যাথলিটের। হবেই বা না কেন? ব্রিটিশ উইমেনস এইট দল এর আগে কখনো অলিম্পিক পদক জেতেনি। কিন্তু মস্তিষ্কে টিউমার নিয়ে পদক জিতলেও তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি এই নারী অ্যাথলিট। ঐতিহাসিক পদক জেতার আনন্দের মধ্যেই রোয়িং থেকে অবসর নেন তিনি। এরপরই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাবিদ্যার পড়াশোনায় মনোযোগী হন ডি টলেডো। এক বছর সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন ৩০ বছরের এই অ্যাথলিট। তবে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু ততদিনে আয়ের সব রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। তাই অবসরের ১৬ মাস পর বাড়তি ৬০ পাউন্ড আয়ের জন্য এক গবেষণায় অংশ নেন টলেডো। এ জন্য তাকে মস্তিষ্কের এমআরআই স্ক্যান করাতে হয়। হাতে নগদ অর্থ পেয়ে খুশি মনেই বাড়ি ফিরে যান।

কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝির এক রাতে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে তাজ্জব বনে যান। তার স্ক্যান প্রতিবেদনে নাকি বাজে কিছুই ধরা পড়েছে। আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। তখনই জানতে পারেন তার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়েছে। টলেডো টিউমারকে মজা করে নাম দিয়েছিলেন ‘স্টিভ’। ২ মার্চ অস্ত্রোপচার করাতে হাসপাতালে ভর্তি হন টলেডো। ধারণা করা হয়েছিল, অস্ত্রোপচার করতে ঘণ্টা চারেক লাগবে। কিন্তু তা করতে শল্যচিকিৎসকদের সময় লাগে প্রায় ১৩ ঘণ্টা। প্রাথমিকভাবে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল ‘স্টিভ’। কিন্তু টিউমারের ছোট্ট একটা অংশই কেবল ফেলতে পেরেছিলেন চিকিৎসকরা। কারণ এটি মস্তিষ্কের স্টেমের খুব কাছাকাছি ছিল। অস্ত্রোপচারে দেরি করলে হয়তো সমস্যাটা আরো বড় হতো। দুই দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান টলেডো। কিন্তু অস্ত্রোপচারের প্রথম কয়েক দিন খুব বাজেভাবে কাটে টলেডোর। নিজের ফ্ল্যাটে হাঁটতেই তার অনেক কষ্ট হতো। ঝিমুনি অনুভব করতেন। চোখে দেখতে সমস্যা হতো। মোবাইলে কথা বলতে গেলে বাড়ে বাড়ে শ্বাস নিতে হতো। দিনে ১২ ঘণ্টা বসে টিভি দেখতেন। আলসে হয়ে পড়েছিলেন। সঙ্গে হতাশায় ভেঙে পড়তে থাকেন।

জুনে পরীক্ষা। তাই এখন পড়াশোনায় মনোযোগ দেবেন। কিন্তু ক্লান্ত লাগছে। মাথার পেছনে বড়সড় অস্ত্রোপচারের ক্ষত রয়ে গেছে। এটা এখনো  ভোগাচ্ছে তাকে। সব বাধা পেরিয়ে চার মাস বাদে টিম রোয়িংয়ে ফিরতে চাচ্ছেন টলেডো। জুলাইয়ে অংশ নেবেন জাম্বাবিয়ার কাফু নদীতে ৯০০ কিমি চ্যারিটি রোয়িংয়ে। তবে বসার জায়গা বদলে ফেলবেন টলেডো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads