• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ

পুলিশের ওপর হামলা

বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তিন মামলা

  • প্রকাশিত ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে পুলিশের ওপর বিএনপিকর্মীদের আক্রমণের ঘটনায় রমনা ও শাহবাগ থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।

রমনা থানার ওসি মইনুল ইসলাম জানান,  মঙ্গলবার রাতে তার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বিশেষ ক্ষমতা আইনে।

আর শাহবাগ থানার দুটি মামলার মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে বলে থানার ডিউটি অফিসার এসআই আকরাম হোসেন জানান।

এর মধ্যে রমনা থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। আর শাহবাগ থানার দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে গয়েশ্বরসহ সাত থেকে আটশ জনকে।

মঙ্গলবার বিকালে হামলার ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে গয়েশ্বরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গভীর রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকেও শান্তিনগরের বাসা থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বাসায় রাতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলেও জানান রিজভী।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলায় রায়ের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণের পর দলের নেতা-কর্মীদের রাজপথে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন গয়েশ্বর।

খালেদা জিয়ার সাজার রায় হলে সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছিলেন বিএনপির এই নেতা।

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিয়ে মঙ্গলবার বিকালে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফেরার পথে হাই কোর্ট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপিকর্মীরা।

ঐ ঘটনায় বিএনপিকর্মীদের বেধড়ক পিটুনির শিকার হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য, ভাংচুর হয় তাদের গাড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্র।

প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে বিএনপিকর্মীরা পুলিশের হাতে আটক দুই নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার।

তিনি জানান, হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে তারা ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads