• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ

জাবি ভিসির পুনঃনিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাই কোর্ট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে পুনঃনিয়োগ দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট।


বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরসহ দুই শিক্ষকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ রুল জারি করে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মঞ্জুর আলম।


গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব জিন্নাত রেহানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১ (১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. ফারজানা ইসলামকে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করেছেন।’ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করেন শরীফ এনামুল কবির এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ড. লুতফর রহমান।


রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুর আলম সাংবাদিকদের বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ এর ১১ (১) ধারা অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিন সদস্যদের প্যানেল মনোনয়ন করতে হবে। কিন্তু এ ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি। তাই দুই শিক্ষকের রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এক সপ্তাহের রুল জারি করেছে। বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে এ আদেশ বিবাদীদের কাছে পাঠাতে বলেছে আদালত।


আন্দোলনের মুখে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন পদত্যাগ করলে ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সিনেটে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, অধ্যাপক আবুল হোসেন এবং অধ্যাপক আমির হোসেনের প্যানেল গঠিত হয়। পরে ২ মার্চ ভিসি প্যানেলে নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেন অধ্যাপক ফারজানা। আগামী ২ মার্চ তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads