• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বাংলাদেশ

৭ মার্চে নারী লাঞ্ছনা

দলের নয়, দায় সরকারের : ওবায়দুল কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ মার্চ ২০১৮

৭ মার্চ রাজধানীতে নারী লাঞ্ছনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনসমাবেশ বা সভাস্থলে যদি কিছু না ঘটে থাকে তবে তার দায় আওয়ামী লীগ নেবে কেন? তবে বাইরে কিছু ঘটে থাকলে তার দায় সরকারের আছে। জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে বাইরে কিছু ঘটলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ে দলটির দফতর উপ-কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসভায় কোনো ব্যক্তি বা দলকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেননি। তিনি কথা বলেছেন আগামী নির্বাচন নিয়ে। সেই নির্বাচনে যাতে কোনো জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে। এতে বিএনপির অন্তর্জ্বালা কেন?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে নির্বাচন। দলের সভাপতি হিসেবে তিনি সমাবেশে ভোট চাইতেই পারেন। এটা তো কারো আঁতে ঘা লাগা বা অন্তর্জ্বালার বিষয় না!

‘সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে’- বিএনপির এমন অভিযোগ নিয়ে করা অপর প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সিনিয়র নেতা যাদেরকে বুঝায় এমন কোনো নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) দেখলাম বিএনপির যারা সিনিয়র নেতা তারা কারাগারে গিয়ে দলটির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেছেন। ঘণ্টাব্যাপী কথা বলেছেন। দেখলাম তারা হাসিমুখে বেরিয়ে এসেছেন। বিএনপি নিজেরাই কর্মসূচি দিয়ে মারামারি, হাতাহাতি করে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর দায় তারা সরকারের ওপর চাপাতে চায়। সব বিষয়ে তারা সরকার নামের নন্দলালের ঘাড়ে দোষ দেয়।

৭ মার্চের জনসমাবেশে জনকলহ বা দ্বন্দ্বের একটি প্রমাণও নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, খুবই সুশৃঙ্খল একটি সমাবেশ হয়েছে। তিনি বলেন, জনসমুদ্রের সমাবেশে শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই আসেননি; এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শ্রেণির মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতিবিজড়িত ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে যান চলাচল ও মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাময়িক ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে কর্মসূচিতে সহযোগিতার জন্য নগরবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদও জানানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের দফতর উপ-কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-কমিটির সদস্য খন্দকার তারেক রায়হান, মেহেদী হাসান, দেলোয়ার রহমান দিপু, নাসিম আল মোমিন রূপক, শাহীন আহমেদ, ইস্কান্দার মির্জা প্রমুখ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads