• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ

পালিত হচ্ছে বিশ্ব অটিজম দিবস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ এপ্রিল ২০১৮

একাদশ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২ এপ্রিল দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

অটিজম শিশুদের বিকাশগত একটি সমস্যা। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুরা সাধারণত অপরের সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারে না, তারা অতিরিক্ত জেদী হয়ে থাকে এবং নিজেকে বিচ্ছিন্ন ও গুটিয়ে রাখার মানসিকতাসম্পন্ন হয়ে থাকে। অটিজমের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। তবে, গবেষকরা মনে করেন, জেনেটিক, নন-জেনেটিক ও পরিবেশগত প্রভাব সমন্বিতভাবে অটিজমের জন্য দায়ী। শিশুর বিকাশে প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত পরিচর্যাই এর একমাত্র বিকল্প।

অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো- ‘নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়ন, হোক না তারা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন’।

এক সময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। সায়মা সম্প্রতি এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তাঁর বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন। 

বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক শিশু অটিজম নামের এই নিউরো-ডেভেলমেন্ট ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত। ইতোমধ্যে এ সম্পর্কে পিতা-মাতা, পরিবার-পরিজন ও সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ও যথার্থ পরিচর্যার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশী সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেন, বাংলাদেশে অটিজম সম্পন্ন ব্যক্তিদের একটি বড় অংশই নারী, যারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে জীবনযাপন করেন। এ প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের প্রতিপাদ্য 'নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়ন, হোক না তারা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন'- অত্যন্ত সময়োপযোগী।’

তিনি বলেন, বর্তমান সরকর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাদের কল্যাণে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রায় নয় লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার সাক্ষর রাখছে। উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সকলকে সম্পৃক্ত করে একটি সুন্দর ও সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হবো বলে আমি বিশ্বাস করি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads