স্ত্রীর দেয়া তথ্যে পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ রংপুরের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব ও পুলিশ।
রংপুরের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক হত্যা প্রসঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, নিহত ব্যক্তির স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে প্রেমিক কামরুল ইসলামের সহায়তায় তাঁর স্বামীকে খুন করেন। রথীশের স্ত্রীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, দুই মাস আগে তাঁরা হত্যার পরিকল্পনা করেন। কামরুল ইসলাম ও স্নিগ্ধা সরকার দুজনই তাজহাট উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
বুধবার রংপুরের র্যাব-১৩ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ব্রিফিং হয়। লিখিত বক্তব্যে বেনজীর আহমেদ বলেন, হত্যার কাজে সহায়তা করেছেন রথীশের স্ত্রী ও বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।
র্যাব ১৩ এর কর্মকর্তা মেজর আরমিন রাব্বী জানান, রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি মৃতদেহের বিষয়ে তথ্য দেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রংপুরের নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে বালু চাপা অবস্থায় একটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। মৃতদেহটি শনাক্তের জন্য রথীশ চন্দ্রের ভাই ও স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে।
রংপুর পুলিশের কর্মকর্তা মুকতারুল আলম ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, রংপুর শহরে তাজহাট মোল্লা পাড়া এলাকার নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এরপর তার স্ত্রী এবং ছোট ভাই মৃতদেহ ভৌমিকের বলে শনাক্ত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ভৌমিকের স্ত্রী দীপা ভৌমিক এবং তার একজন সহকর্মীকে আটকের পর তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভৌমিকের বাড়ির কাছেই তাজহাট মোল্লা পাড়া এলাকার নির্মাণাধীন একটি বাড়ির টয়লেটের স্লাবের পেছনে খোঁড়া গর্তের ভেতর থেকে রাতে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এই বাড়িটি ওই সহকর্মীর একজন আত্মীয়ের বাড়ি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যে পুলিশের সন্দেহ, ভৌমিককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ভৌমিকের স্ত্রী এবং তার সহকর্মীর মধ্যে থাকা সম্পর্কের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে তাদের প্রাথমিক ধারণা।