• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারীদের একাংশ

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ

কোটা সংস্কারের দাবি

পাঁচ দফা মানার আল্টিমেটাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ এপ্রিল ২০১৮

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য  চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। একই সাথে সাত দিনের মধ্যে তাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে আহ্বান করেছেন।

তিন দিনের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে—এমন কথা লিখিতভাবে জানাতে হবে, তাহলে আন্দোলন থেকে সরে আসবেন তারা। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সারা দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আন্দোলনকারীরা। তারা জানান, সরকারের আশ্বাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।

বেলা আড়াইটার দিকে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ জুবায়ের উদ্দীন বলেন, ‘উপাচার্য স্যারের বাসায় যে হামলা হয়েছে, আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ক্যাম্পাসে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন, বহিরাগত ব্যক্তিদের দিয়ে আক্রমণ এগুলোর সুষ্ঠুু বিচার চাই। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে পুলিশের অবস্থান শিথিল করতে হবে। আমাদের কটাক্ষ করে মতিয়া চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে প্রত্যাহার করে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।’

সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে একটি মিছিল রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে টিএসসি হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে জড়ো হয়। সেখানে শত শত আন্দোলনকারী কোটা সংস্কারের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন এই পক্ষটিকে মিছিল না করার অনুরোধ জানান। সরকার শেষ পর্যন্ত কী করে, তা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে মিছিল শুরু করে আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ।

বিদ্যমান কোটার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে—সরকারে এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন আগামী ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল সোমবার বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সরকারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে প্রতিনিধিদল যে পাঁচ দফা দাবির কথা জানায়, তা হলো:

১. কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে আনতে হবে,

২. কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না,

৩. চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা বারবার ব্যবহার করা যাবে না,

৪. সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্কস ও বয়সসীমা নির্ধারণ করতে হবে এবং

৫. কোটায় যোগ্যপ্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধায় নিয়োগ দিতে হবে।

বৈঠকের পর বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা সরকারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করছেন। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে মুক্তি দেওয়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads