• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

কোটা সংস্কারের দাবীতে স্লোগান দিচ্ছে এক বিক্ষোভকারী

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ

কোটা সংস্কারে আন্দোলন

বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষার্থীরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ এপ্রিল ২০১৮

কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনকারীদের সংগঠনের নেতারা বলছেন, তারা রাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করবেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের মতামত জানাবেন। সংগঠনের পক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিকেলে সংসদে সরকারি চাকরির কোটা প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাশেদ খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বুধবার দুপুরে কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনতে চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরিষদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদও বলেন, কোটা সংস্কারের যে পাঁচ দফা দাবি করা হয়েছে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চান তারা। প্রধানমন্ত্রীকে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে এ বিষয়ে। এ আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাঁদের সুচিকিৎসারও দাবি জানান তিনি।

তাদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘কোটা পদ্ধতির দরকার নেই। এ কয় দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস বন্ধ। পরীক্ষা বন্ধ হলো। রাস্তায় যানজট। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। মানুষ কষ্টে থাকবে কেন। কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নেই। আমি কেবিনেট সেক্রেটারিকে বলেই দিয়েছি, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিতে।’

বুধবার জাতীয় সংসদে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখ পেলাম কোটা সংস্কার নিয়ে করা আন্দোলনে। আন্দোলন কী ? লেখাপড়া বন্ধ করে রাস্তায় বসে থাকা? হাসপাতালে যেতে পারছে না মানুষ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরাই করেছি। কিন্তু এখন গুজব ছড়ানো হচ্ছে এসব দিয়ে।’ ছাত্র নিহত হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যা গুজব ছড়ানোর স্ট্যাটাস কে দিল? অঘটন ঘটলে দায়িত্ব কে নিত?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসির বাড়িতে আক্রমণ ন্যক্কারজনক ঘটনা।’ তিনি আরো বলেন, ‘ছবি দেখে মনে হয়েছে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ হয়েছে।’  সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।  

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads